কলকাতা: রাশিয়ার প্রথম সমুদ্র-ড্রোন হামলায় ধ্বংস ইউক্রেনের বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ ‘সিম্ফেরোপল’। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও হামলার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটির হামলার ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়েছে।
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর বৃহত্তম রণতরী
‘সিম্ফেরোপল’ ২০১৯ সালে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় এবং ইউক্রেনের নৌবাহিনীর বৃহত্তম রণতরী হিসেবে পরিচিত। রাশিয়ার লগুনা-শ্রেণির সমুদ্র-ড্রোন এটি দোনুব নদীর ব-দ্বীপে আঘাত হানে। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘টাস’ জানিয়েছে, এটি ইউক্রেনের জাহাজকে ধ্বংস করতে সমুদ্র-ড্রোন ব্যবহারের প্রথম সফল অভিযান।
ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, হামলায় এক জন ক্রু নিহত হয়েছেন, কয়েকজন আহত। বেশির ভাগ ক্রু নিরাপদে রয়েছেন, তবে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। মুখপাত্র বলেন, “হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ চলছেই।”
কেন ধ্বংস হল সিম্ফেরোপল Russia destroys Ukrainian warship
রাশিয়া সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র-সহ অন্যান্য মানববিহীন ড্রোন তৈরি ও ব্যবহার বাড়িয়েছে। এই প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের ফলে ‘সিম্ফেরোপল’ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছেন, তবে এখনও পর্যন্ত তাতে সাফল্য আসেনি। ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছেন এবং ভারতের মতো দেশেও বাণিজ্যিক হুমকি দিচ্ছেন, যাতে যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।
‘সিম্ফেরোপল’ ধ্বংসের ভিডিওটি ‘আরটি’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই এটি ব্যাপকভাবে দেখা হয়েছে এবং নেটাগরিকেরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
World: Russia has successfully used a sea drone to destroy the Ukrainian warship ‘Simferopol’, a first in the ongoing conflict. This naval strike marks a significant development as the war continues despite international efforts to end it.