Rishi Sunak: ইতিহাসের চাকা ঘুরিয়ে ইংরেজদের শাসন করবেন ভারতীয় ঋষি

দেড়শ বছরের ভারত শাসন করেছিল ব্রিটিশ তথা ইংরেজরা। সেই ইতিহাসের চাকা ঘুরেই গেল। এবার ইংরেজদের শাসন করবেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক! ইংল্যান্ডের (England)  ইতিহাসে…

দেড়শ বছরের ভারত শাসন করেছিল ব্রিটিশ তথা ইংরেজরা। সেই ইতিহাসের চাকা ঘুরেই গেল। এবার ইংরেজদের শাসন করবেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক! ইংল্যান্ডের (England)  ইতিহাসে এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। বিবিসির শিরোনাম ‘Rishi Sunak to become next UK prime minister’

                ইংল্যান্ডের শাসক ঋষি সুনক

ঋষি সুনক সম্পূর্ণরূপে ভারতীয় বংশজাত। তাঁর মা উষা ও পিতা যশবীর দুজনেই ভারতীয়। ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির। পরবর্তী সময়ে বিনিযোগ ব্যবসার এক সফল ব্যক্তিত্ব হন। তাঁর স্ত্রী হলেন বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক ব্যবসায়ী এন আর নারায়ণমূর্তির কন্যা। ফলে শ্বশুরকুলের বিরাট প্রভাবে দ্রুত ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে পাকা আসন করে নেন ঋষি। কনজারভেটিভ দলের সদস্য হন। এবার ঋষি ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসছেন।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

Rishi Sunak: British Prime Minister in waiting

ঋষির এই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথাই ছিলনা। যদি না ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লকডাউন নিয়মটি ভেঙে মদ্যপানের পার্টি করতেন। করোনা সংকট পরিস্থিতিতে জনসনের সেই মদ্যপানের আসর ছিল লকডাউন নিয়মের লঙ্ঘন। সেই বিস্ফোরক খবর ফাঁস করে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম। এরপর পার্লামেন্টে ক্ষমা চান বরিস জনসন। বিরোধী দল লেবার পার্টি সরব হয়। ইংল্যান্ড জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেও জনসনকে সরাতে চাপ তৈরি হয়। তীব্র চাপের মুখে কনজারভেটিভ পার্টি জনসনকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়। তিনি পদত্যাগ করেন।

জনসন পদত্যাগ করার মুহূর্ত থেকে বারবার উঠে আসছিল সুনকের নাম। তিনিও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দলের মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেন। কনজারভেটিভ পার্টির এই অভ্যন্তরীণ ভোটে ঋষি সুনক পরাজিত হন প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসের কাছে। নজির গড়ে ট্রাস দেশটির তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে দলীয় গোষ্ঠিবাজির জেরে তিনি মাত্র ৪৫ দিন ক্ষমতায় থাকেন। লিজ ট্রাস পদত্যাগ করেন ইংল্যান্ডের সবথেকে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। তিনি পদত্যাগ করতেই কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ফের অভ্যন্তরীণ ভোট হয়। সেই ভোটে ঋষি সুনক সর্বাধিক সাংসদ সংখ্যার ভোট পেয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী।

BBC, The Independent, The Time, Daily Miror সহ লন্ডন থেকে প্রকাশিত সব সংবাদপত্র পূর্বাভাস দেয় ঋষি সুনকই প্রধানমন্ত্রী।

কনজারভেটিভ পার্টির নিয়ম,  অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে  প্রধানমন্ত্রী হতে দরকার ১০০ সাংসদের সমর্থন। এবারের ভোটে বরিস জনসনের পক্ষে ৫৯ জন সমর্থন দেন। আর ঋষি সুনকের পক্ষে ১৫০ জনের সমর্থন পড়ে।অপর প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ১২৫ জনের সমর্থন।