Onion Price: মধ্যবিত্তের হেঁসেলে স্বস্তি ! এবার ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ

পেঁয়াজের অগ্নি মূল্য রুখতে ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার ভর্তুকি মূল্য ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের খুচরো বিক্রির উপর আরো জোর দিয়েছে। দেশীয় ক্রেতাদের হাতে পেঁয়াজের…

পেঁয়াজের অগ্নি মূল্য রুখতে ক্রেতা স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার ভর্তুকি মূল্য ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের খুচরো বিক্রির উপর আরো জোর দিয়েছে। দেশীয় ক্রেতাদের হাতে পেঁয়াজের যোগান আরো বাড়াতে, একগুচ্ছ পদক্ষেপ পাশাপাশি এই প্রক্রিয়া আরো যোগান বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যেই পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার প্রতি মেট্রিকটন স্থির করেছে। গত মাসের ২৯ তারিখ থেকে এই মূল্য কার্যকর হয়েছে।

উৎসবের মরশুমে এমনিতেই খরচ বেশি, তার উপরে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামে ক্ষোভ বাড়ছিল সর্বত্র। তবে রবিবার থেকে কিছুটা হলেও দাম কমার ইঙ্গিত মিলেছে। সরকার আপাতত ৫৫ টাকা কেজি দরে ‘সুফল বাংলা’র স্টলে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে। তার ফলে নতুন করে আর দর বাড়েনি। তবে এ দিনও কোনও কোনও বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। টাস্ক ফোর্সের দলের আশ্বাস, কয়েক দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে। পুজোর সময়ে রাজ্যে লরি ঢুকতে না পারায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে মত টাস্ক ফোর্সের সদস্যেদের।

পুজোর আগে পেঁয়াজের দাম কেজি-প্রতি ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। পুজোর মধ্যেই তা বাড়তে শুরু করে। ৫০-৬০ থেকে ৭০ হয়ে পুজো ফুরোতে না ফুরোতে তা ৮০ টাকা ছুঁয়ে ফেলায় পকেটে চাপ পড়ে গৃহস্থের। এই অবস্থায় বাজারে নামেন রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। সঙ্গে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বাড়ার পিছনে অন্য কারণের কথাও শুনিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে।

তিনি বলেন, ‘পুজোর জন্যে রাজ্যে লরি ঢোকা বন্ধ ছিল। পেঁয়াজ বেশিটাই ভিনরাজ্য থেকে আসে। সেই লরিগুলি ওডিশা-ঝাড়খণ্ডে আটকে পড়েছিল। তার ফলে ৫০-৬০ শতাংশ পেঁয়াজ পচে যায়। ফলে দাম বাড়ে। আবার পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বাজারে যাওয়ার পরেও কিছু পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল।’