বোমা হুমকির জেরে ওয়াশিংটন রিগান এয়ারপোর্ট অচল

FAA issues ground stop at Reagan Washington National Airport due to bomb threat on United Airlines flight from Houston. Over 190 flights delayed; operations resume after passenger evacuation and checks on Nov 4, 2025.

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে (ডিডব্লিউএ) একটি গুরুতর নিরাপত্তা ঘটনায় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫) সকালে সকল ফ্লাইটের জন্য গ্রাউন্ড স্টপ জারি করেছে। এই ঘটনার কারণ ছিল একটি ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের বিরুদ্ধে বোমা হুমকি, যা হিউস্টন থেকে আগমন করেছিল। এফএএ-র এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপের ফলে এয়ারপোর্টে ১৯০-এর বেশি ফ্লাইট দেরি হয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধা হয়েছে এবং স্থানীয় যাতায়াত ব্যবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভালো খবর হলো, তদন্তের পর অপারেশন পুনরায় শুরু হয়েছে, এবং কোনো ক্যানসেলেশনের খবর নেই। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি শাটডাউনের ৩১তম দিনে ঘটেছে, যদিও এর সাথে কোনো সরাসরি যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

Advertisements

ঘটনার বিবরণ জানা যায়েছে যে, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হিউস্টন থেকে ডিডব্লিউএ-তে অবতরণ করার পর হঠাৎ একটি বোমা হুমকির খবর আসে। ফ্লাইট রাডার২৪-এর মতো ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট এটিকে অযাচাইকৃত বলে উল্লেখ করলেও, নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সতর্কতার সাথে কাজ করেছে। একজন জ্ঞাত ব্যক্তি বলেছেন, “প্লেনের বিরুদ্ধে একটি বোমা হুমকি করা হয়েছে এবং প্রচুর সতর্কতার সাথে প্লেনটি চেক করা হচ্ছে।” এই হুমকির ফলে যাত্রীদের দ্রুত প্লেন থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং বিমানটিকে টার্মিনাল থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এফএএ-র বিশেষ নিরাপত্তা নিয়মাবলী অনুসারে, এয়ারপোর্টটি হোয়াইট হাউস এবং ইউএস ক্যাপিটল থেকে মাত্র পাঁচ মাইল দূরে অবস্থিত, যা এমন ঘটনায় দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ হয়েছে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স প্রশ্নের জবাবে এফবিআই-কে রেফার করেছে, এবং এফবিআই-এর কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

   

এই গ্রাউন্ড স্টপের সময়কাল নির্দিষ্টভাবে জানা গেলেও, এটি সংক্ষিপ্ত ছিল এবং তদন্তের পর অপারেশন পুনরায় চালু হয়েছে। এফএএ জানিয়েছে, “আগের নিরাপত্তা সমস্যার কারণে গ্রাউন্ড স্টপ জারি করার পর অপারেশন পুনরায় শুরু হচ্ছে।” ফ্লাইটঅ্যাওয়্যারের তথ্য অনুসারে, ১৯০-এর বেশি ফ্লাইট দেরি হয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য বিরক্তিকর হলেও কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারপোর্ট নিরাপত্তার সংবেদনশীলতাকে তুলে ধরেছে, বিশেষ করে রাজধানী এলাকায় যেখানে সরকারি ভবনগুলোর নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে এমন হুমকির কারণে এয়ারপোর্টগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এবারের ঘটনায় দ্রুত সমাধান হয়েছে যা কর্তৃপক্ষের দক্ষতার প্রশংসা পেয়েছে।

Advertisements

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি শাটডাউনের ৩১তম দিন চলছে, যা সরকারি কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, কিন্তু এর সাথে নিরাপত্তা ঘটনার কোনো যোগসূত্র নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হুমকিগুলো প্রায়ই অযাচাইকৃত হয় এবং এটি সম্ভবত একটি ফলস অ্যালার্ম, কিন্তু কর্তৃপক্ষের সতর্কতা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ভাইরাল হয়েছে, যাত্রীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন এবং #ReaganAirportThreat ট্যাগ ট্রেন্ড করছে। একজন যাত্রী টুইট করেছেন, “হঠাৎ প্লেন থেকে নামিয়ে দেওয়া, কিন্তু নিরাপত্তা সবার জন্য প্রথম।” এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের এভিয়েশন সেক্টরের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতাকে প্রমাণ করেছে।

সার্বিকভাবে, এই ঘটনা বিমান চলাচলের নিরাপত্তার গুরুত্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এফএএ-র দ্রুত পদক্ষেপ এবং তদন্তের ফলে কোনো ক্ষতি হয়নি, যা যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে আরও উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও শিক্ষণীয়, যেখানে এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা একটি চ্যালেঞ্জ।