দীর্ঘদিন চিনা অর্থের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তান এবার রেল অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন দিক খুঁজছে। কারাচি–রোহরী অংশে ‘মেইন লাইন-১ (ML-1)’ আধুনিকীকরণের জন্য ইসলামাবাদ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB)-এর কাছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে। অথচ এই প্রকল্প একসময় চাইনা-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC)-এর ‘মুকুট রত্ন’ বলে পরিচিত ছিল।
চিনের সরে আসা ও নতুন বাস্তবতা
ML-1 প্রকল্প, প্রায় ১,৮০০ কিমি দীর্ঘ এই রেলপথ, মূলত চিনের ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর অধীনে গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের ঋণ সংকট, দীর্ঘসূত্রিতা এবং বাড়তি আর্থিক ঝুঁকির কারণে চিন ধীরে ধীরে পিছু হটেছে। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদকে এডিবি’র দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে প্রথমবার, পশ্চিমঘেঁষা আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাই CPEC-এর বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চলেছে—যা চিনের প্রভাব হ্রাসের স্পষ্ট ইঙ্গিত।
ইসলামাবাদের সংকট ও চিনের শঙ্কা pakistan adb loan cpec
বারবার IMF-এর কাছে সাহায্য চাওয়া, চিনা পাওয়ার কোম্পানির পাওনা মেটাতে অক্ষমতা—সব মিলিয়ে ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাই চিনকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ঋণ শোধের ক্ষমতা নিয়ে বেইজিংয়ের আস্থাহীনতাই এর প্রধান কারণ।
ভূ-রাজনীতি ও নতুন দিশা
প্রকল্প নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও, পাকিস্তানের নেতৃত্ব দাবি করছে CPEC-এ নতুন গতি আনার। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ‘CPEC 2.0’-এর সূচনা ঘোষণা করলেও চিন এখন অনেকটাই সতর্ক। এদিকে ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উষ্ণ হচ্ছে, আর ভারতের SCO সম্মেলনে চিন ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠতা গোটা প্রেক্ষাপটকে আরও জটিল করেছে।
ফলত, যে করিডোর একসময় চিনের কূটনৈতিক শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হত, সেখানে এখন এডিবি’র প্রবেশ পাকিস্তানের অবকাঠামো রাজনীতিতে বড় মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
World: Pakistan is seeking a $2 billion loan from the Asian Development Bank (ADB) to modernize its Main Line-1 (ML-1) railway, a project once hailed as the “crown jewel” of the China-Pakistan Economic Corridor (CPEC). This move signifies a major shift as Beijing’s influence wanes amidst Pakistan’s growing economic instability, forcing Islamabad to look beyond traditional Chinese funding.