পূর্ব আফ্রিকার (Africa) দেশ উগান্ডার (Uganda) জনগণ বর্তমানে এক অজানা আতঙ্কে কাঁপছে। সম্প্রতি, উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলা থেকে এক রহস্যময় সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যা দেশটির অনেক নারী ও কিশোরীকে আক্রান্ত করছে। সোয়াহিলি ভাষায় এই রোগের নাম “ডিঙ্গা ডিঙ্গা”। এর উপসর্গগুলি এখনও পুরোপুরি বোঝা যায়নি, তবে এতে আক্রান্তদের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, এবং এক ধরনের দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, এই রোগটি নারী ও কিশোরীদের মধ্যে বেশি ছড়াচ্ছে, যার ফলে স্থানীয় জনগণ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এক বড় ধরনের শঙ্কায় রয়েছেন।
CPIM : দলের দ্বন্দ, সিপিএমের জেলা কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার সুজনের স্ত্রীর
ডিঙ্গা ডিঙ্গা (Dinga Dinga) সংক্রমণের উৎপত্তি এবং তার প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কিছু বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি হয়তো কোনো নতুন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা প্রথমে বুন্ডিবুগিও অঞ্চলে ছড়াতে শুরু করে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী কর্মীরা জানান, রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এবং আক্রান্তরা মূলত ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং তারা একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এটি একটি অস্থির পরিস্থিতি, কারণ রোগটির কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও এর সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। কর্তৃপক্ষ এখন সক্রিয়ভাবে গবেষণা এবং পর্যালোচনা করছে, যাতে রোগটি কীভাবে ছড়াচ্ছে এবং এর প্রতিকার কী হতে পারে তা জানা যায়। এই রোগটি কিভাবে সংক্রমিত হয়, তার সম্পর্কে আরও গবেষণা চলছে।
প্রিয়াঙ্কার কাছে পরাজিত বিজেপির নব্যা ভোটের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, দ্বারস্থ আদালতের
উগান্ডার স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। করোনা অতিমারির পর থেকে নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব সাধারণ মানুষের জন্য আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকলেও, অজানা রোগের প্রকোপ সব দেশের জন্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগান্ডায় ডিঙ্গা ডিঙ্গার কারণে স্থানীয় জনগণ নানা আতঙ্কে ভুগছেন এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত, বুন্ডিবুগিও জেলা ছাড়াও অন্য কোনো অঞ্চলে এই রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি। তবে, চিকিৎসকরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্তদের পর্যবেক্ষণ করছেন। এছাড়া, জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে, যাতে রোগটি আরও না ছড়ায়।
পরীক্ষা থেকে বাঁচতে স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে পড়ুয়ারাই, দাবি দিল্লি পুলিশের
এ ঘটনার পর, অনেক বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা মনে করছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। উগান্ডার সরকার, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো, আশা করছে যে দ্রুততম সময়ে ডিঙ্গা ডিঙ্গা রোগটির প্রকৃতি এবং এর প্রতিকার নিয়ে যথাযথ সমাধান পেতে সক্ষম হবে। এই রোগের শিকার সকলের প্রতি বিশ্ববাসীর সহানুভূতি এবং সহযোগিতা জানানো হচ্ছে।