আন্দোলনের জোয়ারে ক্ষমতাচ্যুত অলি! জেনজেড আন্দোলনকারীদের দাবি কী?

জেনজেড বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। কিন্তু তাতেও স্তিমিত নয় নেপালের বিস্ফোরণমুখী পরিস্থিতি। রাজধানী কাঠমান্ডু-সহ একাধিক শহরে সেনা মোতায়েন, সংসদ…

nepal gen z protesters demand

জেনজেড বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। কিন্তু তাতেও স্তিমিত নয় নেপালের বিস্ফোরণমুখী পরিস্থিতি। রাজধানী কাঠমান্ডু-সহ একাধিক শহরে সেনা মোতায়েন, সংসদ ভবন পুড়িয়ে দেওয়া, রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ—সব মিলিয়ে উত্তাল প্রতিবেশী দেশ। এর মধ্যেই জেন জেড প্রজন্ম, যাদের আন্দোলনে কার্যত ভেসে গেল অলি সরকার, তারা সামনে আনল একগুচ্ছ রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবি।

শহিদ মর্যাদা, দুর্নীতি তদন্ত, নতুন সংবিধান

আন্দোলনকারীদের দাবি, বিক্ষোভে নিহত সবাইকে শহিদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁদের পরিবারকে দিতে হবে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও ক্ষতিপূরণ। সেই সঙ্গে বেকারত্ব রোধ, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করতে বিশেষ কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংগঠকরা।

   

তাঁদের বক্তব্য, “এ আন্দোলন কোনও দল বা ব্যক্তির জন্য নয়। এ আন্দোলন একটি প্রজন্মের, গোটা জাতির ভবিষ্যতের জন্য। শান্তি প্রয়োজন, কিন্তু সেই শান্তি সম্ভব কেবল নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভিতের উপরেই।”

মূল দাবি সমূহ nepal gen z protesters demand

  • অবিলম্বে ভেঙে দিতে হবে বর্তমান প্রতিনিধি সভা, যা জনবিশ্বাস হারিয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
  • নাগরিক, বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংবিধান সংশোধন বা নতুন করে রচনা।
  • অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের পর নিরপেক্ষ ও প্রত্যক্ষ জনঅংশগ্রহণভিত্তিক নির্বাচন।
  • সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
  • গত তিন দশকে রাজনীতিকদের লুঠ করা সম্পত্তির তদন্ত এবং বেআইনি সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত করা।
  • শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, নিরাপত্তা এবং যোগাযোগ—এই পাঁচটি মৌলিক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার।

সেনার দখলে নিরাপত্তা

অলির পদত্যাগের পর থেকেই সেনা কার্যত দেশের আইনশৃঙ্খলা হাতে নিয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালি আর্মি। বুধবার ভোর থেকেই কাঠমান্ডু, ললিতপুর, ভক্তপুরসহ বিভিন্ন শহরে সেনা টহল। এক বিবৃতিতে সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “কিছু গোষ্ঠী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করছে। এই ধরনের কার্যকলাপ চলতে থাকলে সেনা ও সব নিরাপত্তা বাহিনীকে সম্পূর্ণ শক্তিতে নামানো হবে।”

Advertisements

অনিশ্চয়তার প্রান্তে দেশ

প্রধানমন্ত্রী অলি শতাধিক বিক্ষোভকারীর দখল হওয়া দফতর থেকে পালিয়েই পদত্যাগপত্র জমা দেন। সোমবারের সহিংসতােই প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২২ জন। তাতে চাপ বাড়তেই সরে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু সরকারের পতন সত্ত্বেও পরিস্থিতি এখনও অস্থির। জ্বলছে সংসদ ভবন, পথে পথে দাঙ্গার আগুন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এটি কেবল শুরু,“নতুন নেপাল” গড়ার পথ এখনই খুলে দিতে হবে।

World: Nepal’s Gen Z protests continue despite PM Oli’s resignation, with demonstrators demanding a new constitution, direct elections, and justice for corruption. The movement seeks fundamental political reform as cities remain on high alert with military presence.