ইউরোপে যুদ্ধ চলছে। রুশ হামলায় রত্তাক্ত ইউক্রেন। বিশ্ব শিহরিত। আর ভারত সীমান্তের বিভিন্ন বর্মী গ্রামে গণহত্যার খবর যেন নীরব নিথর দেহ হয়ে পড়ে আছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি মিজোরাম লাগোয়া মায়ানমারের (Myanmar) গ্রামগুলিতে। রাস্তায় পড়ে আছে গুলিবিদ্ধ দেহ। পচে গলে গেছে। বর্মী সেনার অভিযানের এই ছবি Kolkata24x7 বিশেষ সূত্র থেকে সংগ্রহ করেছে।
সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের সামরিক সরকার চলছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেত্রী ছিলেন আউং সান সু কি। কিন্তু তিনি এখন বন্দি। রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে দেশটির নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এর পরেই শুরু হয়েছে গণহত্যা। সূত্রের খবর, সেনা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন হ্লাইংয়ের নির্দেশে বিদ্রোহী এলাকা হিসেবে চিহ্নিত চিন (Chin Land) ও সাগিয়াং প্রদেশে সেনা অভিযান চলছে। অভিযোগ, নির্বিচারে গণহত্যা করছে বর্মী সেনা। কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রত্যাঘাত করছে চিনল্যান্ড বাহিনী ও বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী।
দু’পক্ষের সংঘর্ষে রত্তাক্ত মায়ানমার-ভারত সীমাম্তে গ্রামগুলি। হাজার হাজার বর্মী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছেন। আরও আসছেন। মিজোরামের বর্মী উদ্বাস্তু শিবিরগুলি এর নিদর্শন। মিজোরাম সরকার উদ্বাস্তু বর্মীদের রক্ষণাবেক্ষণ করছে।
গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি তীব্র আতঙ্কের। এমনই জানিয়েছেন কোনওরকমে জীবন হাতে করে পালানো বর্মীরা। সীমাম্তের বর্মী গ্রামগুলিতে গণহত্যার ছবি তাঁদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে।
মিজোরাম লাগোয়া মায়ানমারের সাগিয়াং রাজ্যের ইয়েনমারপিন গ্রামের পরিস্থিতি সর্বাধিক ভয়াবহ। এখানে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে নিহত গ্রামবাসীদের দেহ। বর্মী সেনার অভিযানে এই গণহত্যা হয়েছে বলে অভিযোগ।
জেনারেল মিং হ্লায়িংয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সামরিক সরকার যখন মনে করবে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর পরিস্থিতি তখনই ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।