মাস্কের ‘বড় বোমা’ নিজেই বিস্ফোরিত? এপস্টিন মামলায় ট্রাম্পকে জড়ানো পোস্ট ডিলিট!

ওয়াশিংটন: টেক দুনিয়ার বিতর্কিত জিনিয়াস এলন মাস্ক আবারও শিরোনামে। তবে এবার প্রযুক্তি নয়, বরং রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘিরেই আলোচনায় তিনি। সম্প্রতি এক্স-এ (পূর্বে টুইটার)…

Musk Epstein Files Controversy

ওয়াশিংটন: টেক দুনিয়ার বিতর্কিত জিনিয়াস এলন মাস্ক আবারও শিরোনামে। তবে এবার প্রযুক্তি নয়, বরং রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘিরেই আলোচনায় তিনি। সম্প্রতি এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) করা একটি পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে জেফ্রি এপস্টিন সংক্রান্ত গোপন ফাইলগুলিতে। তবে চাঞ্চল্যকর এই পোস্টটি কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিলিট করে দেন তিনি।

মস্কের টুইট

মাস্ক লিখেন, ‘‘বড় বোমাটা এবার ফাটানোর সময়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম আছে এপস্টিন ফাইলসে। এটাই আসল কারণ, কেন ওগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি। শুভদিন, DJT!”

   

এর কিছু পরেই আরেকটি পোস্টে বলেন, “এই পোস্টটি মনে রাখুন, একদিন সব সত্য সামনে আসবে।”
এটিও ডিলিট করে দেন মাস্ক।

‌রাজনীতি নাকি প্রতিশোধ? Musk Epstein Files Controversy

 

এই পোস্টের পরপরই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ট্রাম্প ও মাস্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনই এর পেছনে কারণ হতে পারে। মাস্ক সম্প্রতি মার্কিন সরকারের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (DOGE)’ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ট্রাম্পের ব্যয়বহুল বাজেট পরিকল্পনাকে খোঁচা দেন ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’ বলে। সেই চাপানউতোরের রেশ কি পোস্টে এসে পৌঁছাল?

‌এপস্টিন ফাইল: রয়ে গেছে রহস্য

জেফ্রি এপস্টিনের নামে যৌন পাচার ও নানাবিধ অপরাধে অনেক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে রয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। কিছু নথি প্রকাশ পেলেও, বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এখনও আদালতের সিলমোহরে বন্ধ। মাস্কের দাবি অনুযায়ী, ট্রাম্পের নাম থাকার কারণেই সেগুলো গোপন রাখা হয়েছে।

Advertisements

পুরনো ছবি, নতুন বিতর্ক

একইসাথে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে মাস্ক ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের ২০১৪ সালের একটি ছবি। এপস্টিনের সহযোগী ঘিসলেইনকে ২০২১ সালে কিশোরী পাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
মাস্ক অবশ্য আগেও বলেছেন, “সেটা একটা ফটোবম্ব মাত্র, ব্যক্তিগত কোনো সংযোগ ছিল না।”

২০১৮ সালে এক নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এপস্টিন নাকি মাস্ককে কিছু বিনিয়োগ পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু মাস্ক তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

‌তলানিতে থাকা সত্য?

যদিও পোস্টগুলো মুছে ফেলা হয়েছে, কিন্তু কথাটি ইতোমধ্যেই ইন্টারনেট জুড়ে আলোড়ন তুলেছে। অনেকেই বলছেন, “যেখানে ধোঁয়া আছে, সেখানে আগুনও থাকে।” মাস্কের মতো উচ্চপ্রোফাইল একজন যদি এমন কিছু বলেন, তাহলে তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

World: Elon Musk sparked controversy on X by claiming Donald Trump’s name is in Jeffrey Epstein’s secret files, then deleted the post. Analysts speculate on political motivations amid recent Trump-Musk tensions. The post fuels conspiracy theories about hidden Epstein documents, which have long been rumored to involve powerful figures. Find out more about this shocking claim.