HomeWorldজইশের ‘মহিলা ব্রিগেড’: আত্মঘাতী মিশনে ৫,০০০ নারী! বিস্ফোরক দাবি আজহারের

জইশের ‘মহিলা ব্রিগেড’: আত্মঘাতী মিশনে ৫,০০০ নারী! বিস্ফোরক দাবি আজহারের

- Advertisement -

দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা মানচিত্রে নতুন উদ্বেগের সুর। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) প্রধান মাসুদ আজহার দাবি করেছেন—সংগঠনের মহিলা শাখা ‘জমাতুল-মুমিনাত’ ইতিমধ্যেই ৫,000-রও বেশি নারী সদস্য সংগ্রহ করেছে। তাঁর কথায়, এদের একটি বড় অংশকে আত্মঘাতী হামলার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং জঙ্গি মতাদর্শে গভীরভাবে ব্রেনওয়াশ করা হচ্ছে।

নতুন ‘মহিলা ব্রিগেড’

জইশের এই নতুন ‘মহিলা ব্রিগেড’-এর নেতৃত্বে রয়েছেন আজহারের বোন সাঈদা। সংগঠনের উদ্দেশ্য—নারী-নিয়োগের মাধ্যমে জইশের তৎপরতা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও গভীরভাবে বিস্তার করা।

   

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে মাসুদ আজহার উল্লেখ করেন, গত কয়েক সপ্তাহেই জমাতুল-মুমিনাতে হাজার হাজার নারী যোগদান করেছে। তাঁর প্রকাশ্য আহ্বান—PoK–এর প্রতিটি জেলায় মহিলা শাখার কার্যকর একটি স্থায়ী ইউনিট বা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। প্রতিটি ইউনিটে থাকবেন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা প্রধান বা ‘মুনতাজিমা’, যাঁর দায়িত্ব হবে নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয় জঙ্গি কার্যক্রমের সমন্বয়।

নতুন চ্যালেঞ্জ

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, জইশের এই ‘মহিলা ইউনিট’ দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোর সামনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ। নারীদের আত্মঘাতী মিশনে যুক্ত করার মতো পদক্ষেপ জঙ্গি সংগঠনের কৌশলগত মানসিকতার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে সূত্রের খবর। জইশের সক্রিয় মহিলা শাখা ভবিষ্যতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জঙ্গি নেটওয়ার্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে—এমন আশঙ্কাই বাড়ছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা পরিকাঠামোয় এই নতুন সন্ত্রাস-মডেলের প্রভাব কতদূর বিস্তৃত হয়, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা অঞ্চল।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular