শেষের কি সত্যি শুরু? মরক্কোর পর মৃত্যুপুরী লিবিয়া। স্টর্ম ড্যানিয়েলের ফলে বন্যা আর তাতেই বিধ্বংসী চেহারা লিবিয়ায়। হু হু করে দেহ ভেসে আসছে! চারিদিকে শুধু মৃতদেহের সারি। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বেড়ে হয়েছে ৬,০০০ এর উপর এবং এখনও ১০,০০ এর উপর নিঁখোজ। শুধু তাই নয়, বুধবার ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঝড় ড্যানিয়েলের জন্য বন্যার পরে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনাতে ৩০,০০০ এরও বেশি গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাটি আরও উল্লেখ করেছে যে অসংখ্য মানুষ প্রতিবেশী শহরগুলিতে আশ্রয় বা শেল্টার ছাড়াই রয়েছেন। ঞ্জানা গিয়েছে যে ৭,০০০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকেলে ঝড় নামার সময় দুটি নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এই ভয়াবহ বন্যা হয়। এটি ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলের একটি বিশাল প্রলয় এসে পড়ে, কাঠামোগুলিকে ধ্বংস করে এবং দুঃখজনকভাবে এর পথে আটকা পড়াদের জীবন কেড়ে নেয়।
ত্রিপোলি ভিত্তিক জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র ওসামা আলি প্রায় ১০,০০০ জন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জ়িনহুয়া নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুযায়ী এই বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলো এখন প্রয়োজনীয় সরবরাহের সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। এদিকে, লিবিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের আবাসিক এবং মানবিক সমন্বয়কারী, জর্জেট গ্যাগনন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং অংশীদারদের সমর্থন করার জন্য একটি জরুরি দল মনোনীত করেছেন।
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্টোনিও গুতেরেস, পরের সপ্তাহের বার্ষিক উচ্চ-পর্যায়ের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে, লিবিয়ায় বন্যা এবং মরক্কোর মারাত্মক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি গভীর শোক ও পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করে তিনি জানান, “এই হৃদয় বিদারক বিপর্যয়গুলি হাজার হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং অসংখ্য পরিবার ও সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করেছে।”