সিডনির আতশবাজি জৌলুসের আড়ালে কিরিটিমাটি বরণ করল বছরের প্রথম দিন। ছোট্ট দ্বীপদেশ (Kiribati) কিরিবাটি। এই দেশেই প্রথম ইংরাজি বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি প্রবেশ করে। হ্যাপি নিউ ইয়ার। নতুন বছরে সবাই ভাল থাকবেন।
প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ কিরিবাটি বাসিন্দারা একথা জানিয়ে দিলেন বিশ্ববাসীকে। নারকেল ফুল, ঝিনুক, প্রবাল দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান কিরিবাটি দেশের কিরিটিমাটি দ্বীপবাসীরা। এরপর ঘড়ির কাঁটা ধরে সময় এগিয়ে যাবে, আর তারসঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে পালিত হবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সমগ্র দ্বীপটি একটি অভয়ারণ্য। পাঁচটি বিশেষভাবে সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ সীমাবদ্ধ।
ভৌগোলিক কারণে লন্ডনের গ্রিনিচ মেন টাইম (GMT) থেকে ১৪ ঘন্টা এগিয়ে থাকা কিরিবাটি দ্বীপের কিরিটিমাটি শহরেই বিশ্বে প্রথম ক্যালেন্ডারের পাতা নতুন বছরে ঢুকে পড়ে। বদলে যায় সাল তারিখ।
কিরিবাটি-কেমন সে দেশ? সমুদ্র তরঙ্গে জীবন দেখা শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বন্দরে বন্দরে’ যারা পড়েছেন তাদের কাছে মনিমুক্তোর মতো ধরা আছে এই দ্বীপভূমির কথা। দ্বীপ দেশ কিরিবাটি। প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ এই দ্বীপের উপকূলে এসে মিলিয়ে যায়। নির্ভয়ে কচ্ছপ আর বিরল সামুদ্রিক প্রাণীরা এখানে ঘুরে বেড়ায়। যারা অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম জাদুতে মগ্ন, তারাও পেয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরীয় এমন দ্বীপভূমির অনেক কথা। এখানে সাগর ফেনিল জীবন আর প্রবাল রূপের ছটা।
এমনই দ্বীপ কিরিবাটির অন্যতম শহর কিরিটিমাটির বর্ষ বরণ কিন্তু ঢাকা পড়ে যায় সিডনি, নিউইয়র্ক, টোকিও, লন্ডনের রোশনাই জৌলুসে। তবে ভৌগোলিক কারণে, ছোট্ট দেশটি সবার আগে ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে দেওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রকৃতি দিয়েছে এই উপহার। হাজার আলোর, কর্পোরেট তামাশার কোনও ক্ষমতাই নেই কিরিবাটি দ্বীপের কিরিটিমাটি শহরের বর্ষবরণকে টেক্কা দেওয়ার।
1950 এর দশকের শেষের দিকে ইংল্যান্ড এবং 1962 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিরিটিমাটিতে এবং এর আশেপাশে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষা চলাকালীন পারমাণবিক বিকিরণের সময় বাসিন্দাদের এবং ব্রিটিশ, নিউজিল্যান্ড, এবং ফিজিয়ান সেনাদের সরিয়ে দ্বীপটি খালি করা হয়নি।