J&K: জম্মু কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে উপত্যকায় ‘বেআইনি’ ঘোষিত গিলানির সংগঠন

জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার বার্তা প্রচারের অভিযোগ এনে তেহরিক-ই-হুরিয়তকে (Tehreek-e-Hurriyat) বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করল ভারত সরকার। সংগঠনটির বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলায়…

Home Minister Amit Shah

জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার বার্তা প্রচারের অভিযোগ এনে তেহরিক-ই-হুরিয়তকে (Tehreek-e-Hurriyat) বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করল ভারত সরকার। সংগঠনটির বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলায় দায়ের হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে একথা জানান। শাহর অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরকে (J&K) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছিল সংগঠনটি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ বলেছেন, “তেহরিক-ই-হুরিয়ত, জম্মু ও কাশ্মীরকে ইউএপিএ-র অধীনে ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।ওই সংগঠনটি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার কাজে নিযুক্ত ছিল। কাশ্মীরে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রও করেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়ানো ও ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করে গিয়েছে।’

সেই সঙ্গে অমিত শাহ মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠী ও ব্যক্তি সবক্ষেত্রেই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন।কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন ভারতবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তেহরিক-ই-হুরিয়ত জম্মু ও কাশ্মীর একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন যা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট গিলানি তার প্রাক্তন দল জামায়াতে ইসলামী কাশ্মীর ত্যাগ করার পরে এটি প্রতিষ্ঠিত করেন। জানা গিয়েছে, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনও সংগঠনকে ‘বেআইনি’ বা ‘সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করতে পারে। একে কথ্য ভাষায় ‘নিষিদ্ধ’ বলা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ৪৩টি সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, অর্থাৎ তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অনেক খালিস্তানি সংগঠন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, এলটিটিই এবং আল কায়েদার মতো ৪৩টি সংগঠন।