Qatar WC: হিজাব-পরমাণু-পতাকা বিতর্কে হাইভোল্টেজ কূটনৈতিক ম্যাচ আমেরিকা-ইরানের

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: হিজাব বিদ্রোহ, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক, সব শেষে বিকৃত পতাকা সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগ- এসব নিয়ে প্রবল কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের আবহে মাঠে…

সুজানা ইব্রাহিম মোহনা, দোহা: হিজাব বিদ্রোহ, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক, সব শেষে বিকৃত পতাকা সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগ- এসব নিয়ে প্রবল কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের আবহে মাঠে নামছে (USA) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও (Iran) ইরান। বিশ্বকাপের (Qatar Wc) আসরে ফুটবলের নিরিখে এই ম্যাচ যত না আলোচিত তার চেয়ে ঢের ঢের বেশি কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ম্যাচটি ঘিরে কাতার সরকার বিশেষ সতর্ক। আর পুরো আরব দুনিয়া অপেক্ষা করছে কী হতে চলেছে আগামী কয়েক ঘণ্টায়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সংঘাত বরাবরই চরমে। এই কূটনৈতিক আবহে খেলার শুরুর আগে চরম বিতর্কের জড়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের অ়ভিযোগ, তাদের জাতীয় পতাকা বিকৃত করে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় ফুটবল দলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

ইরানের অভিযোগ, তাদের জাতীয় পতাকার যে ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল দলের সামাজিক মাধ্যম তাতে পতাকার উপর লেখা ‘আল্লাহ’ শব্দটি তুলে দেওয়া হয়। ইরানের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন মার্কিন ফুটবল দলের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিফার কাছে। ইরান বলেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচিতির ওপর আঘাত করা হয়েছে।

ফিফার গঠনতন্ত্রের ১৩ নম্বর নিয়মকে সামনে এনেছে ইরান। এতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি কোনও ফিফা সদস্য দেশের জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচিতি ও প্রতীকের অবমাননা করে তাহলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী অন্তত ১০টি ম্যাচ থেকে বাদ পড়বে।

হাইভোল্টেজ কূটনৈতিক ম্যাচের আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই ফিফার কাছে আবেদন করেছে ইরান।  

অন্যদিকে ইরানের অভ্যন্তরে প্রবল হিজাব বিদ্রোহ। হিজাব ঠিক মত পরা নেই এই অভিযোগে ইরানের ধর্মীয় নীতি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কুর্দিস তরুণী মাহসা আমিনিকে। হেফাজতে তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর থেকে হিজাব বিরোধী গণবিক্ষোভে রক্তাক্ত ইরান। বিদ্রোহ দমনে ইরান সরকার চালাচ্ছে গুলি। শতাধিক মৃত। বিদ্রোহ সমর্থনকারী ইরানি ফুটূলাররা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেমেই জাতীয় সঙ্গীত গাননি। এতে বিতর্ক আরও বাড়ে। জানা যাচ্ছে ইরান সরকার তাদের দেশের ফুটবলারদের চরম শাস্তি দেবে।

কী হতে পারে এই শাস্তি? মৃত্যুদণ্ড? এই প্রশ্নে চরম আলোড়িত দুনিয়া। কারন হিজাব বিদ্রোহীদের ‘দাঙ্গাকারী’ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহনকারী বলে চিহ্নিত করেছে ইরান সরকার। তাদের শাস্তি হিসেবে ইরানের সংসদে (মজলিশ) সংখ্যাধিক্য ভোটে জিতেছে মৃত্যুদণ্ড পাশের প্রস্তাব। পরের ম্যাচে ইরানি ফুটবলাররা জাতীয় সঙ্গীত গান।