টানা দুদিন ব্ল্যাকআউটের পর ধীরে ধীরে ইন্টারনেট এবং সেলুলোর ফোন পরিষেবা চালু হচ্ছে গাজা উপত্যকায়। রবিবার ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় আবার অনলাইন পরিষেবা চালু হয়েছে। যারফলে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে আবার যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজার মানুষরা।
ইজরায়েলের স্থল অভিযান সম্প্রসারণ এবং তীব্র বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর শুক্রবার রাতে হঠাৎ গাজা উপত্যকায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ফলে সংকটের মধ্যে পরে সেখানে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীরা। আন্তর্জাতিক সিম কার্ড ব্যবহারকারী কয়েকজন ফিলিস্তিনি বা স্যাটেলাইট ফোন মারফত এই সংবাদটি সামনে আসে।তবে রবিবার সকালের মধ্যে গাজার অনেক মানুষের কাছে ফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
গাজায় হামাস আক্রমণের পর শুরু হয়েছে ইজরায়েলের গোলাবর্ষণ।মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছে বহু সাধারণ মানুষ। ইজরায়েল প্রশাসন গাজা অবরোধ ঘোষণা করতেই গোটা গাজা উপত্যকা যেন বিশ্ব থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের একমাত্র ভরসা ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে নিজেদের দুর্দশার কথা ভাগ করে নিচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে সেটিও না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে দিন গুনছিলেন সেখানকার সাধারণ মানুষরা।
২৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হিন্দ আল-খোদারি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তার সম্পর্ক এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, যে কোনো মুহূর্তে তা কমে যেতে পারে। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাকে পাগলামির সঙ্গে তুলনা করেন এই সাংবাদিক। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছিল যে, প্রিয়মানুষের খোঁজ না পেয়ে অনেকে বোমাবর্ষণের মধ্যেও আশ্রয়স্থলের বাইরে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহকারী সংস্থাগুলো। তাই স্টার্লিকের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক গাজায় ইন্টারনেট সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।তবে তার জন্যে তাঁকে ইজরায়েল প্রশাসনের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।