যুবসমাজের বিক্ষোভে উত্তাল, ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল!

কাঠমান্ডু: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সহ ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাতিলের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে। সপ্তাহের শুরুর দিনে দেশের যুব সমাজের সংসদ ভবন…

যুবসমাজের বিক্ষোভে উত্তাল, ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল!

কাঠমান্ডু: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সহ ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাতিলের বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে। সপ্তাহের শুরুর দিনে দেশের যুব সমাজের সংসদ ভবন অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। কেপি শর্মা অলির সরকারের দুর্নীতি নিয়ে এমনিতেই ক্ষোভে ফুঁসছিল নেপালের আমজনতা।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সরকারের তরফে ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাতিল করায় যুব সমাজের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। এতদিন সমাজমাধ্যমে বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরিস্থিতি দানা বাঁধলেও সোমবার সকালে রাজধানীর রাস্তায় নেমে পড়ে হাজারও যুবক যুবতি। সংসদ ভবন লক্ষ্য করে প্রতিবাদ মিছিল করে এগোতে শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সংসদ ভবন সহ লাগোয়া প্রশাশনিক এলাকায় কার্ফু জারি করে প্রশাসন। তাতেই ক্ষোভ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

   

কার্ফু ভেঙে পুলিশি ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ে প্রতিবাদে উন্মত্ত যুব সমাজ। পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। ঘটনায় রাজধানীর সংবেদনশীল একাধিক এলাকায় কার্ফু জারি করেছে নেপাল প্রশাসন।

উল্লেখ্য, নেপাল সরকারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০৮০ অনুযায়ী, প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকে নিজেদের নাম রেজিস্টার করানো বাধ্যতামূলক। ২০২০ সাল থেকেই একাধিক সমাজমাধ্যম এবং অনলাইন অ্যাপে লাইসেন্স ছাড়া বিজ্ঞাপন প্রচলনের বিরুদ্ধে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে।

এর প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশীয় এবং বিদেশী অ্যাপের কার্যকলাপ এবং অবাঞ্ছিত কন্টেন্টের উপর নজরদারি চালাতে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এক্স, ইউটিউব সহ দেশী, বিদেশী মিলিয়ে মোট ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাতিল করে নেপালের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক।

Advertisements

নেপালের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং জানান, সরকারের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিকে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তবে বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও পরবর্তীকালে সংস্থাগুলি নাম নথিভুক্ত করলে তাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

কারা বাতিলের তালিকায়?

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, এক্স, রেডিট, লিঙ্কডইন, হোয়াটসঅ্যাপ, ডিসকর্ড, পিন্টারেস্ট, সিগনাল, থ্রেডস, উইটক, কোরা, টুমব্লর, ক্লাবহাউস, রাম্বেল, লাইন, ইমো, জালো, সোল, হামরো পাত্র, এমআই ভিডিও এবং এমআই ভাইক ৩।

নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়েছে: টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিম্বুজ, টেলিগ্রাম এবং গ্লোবাল ডাইরি।