শুক্রবার আমেরিকার (USA) শিকাগোতে (Chicago) পেট্রল পাম্পে কাজ করার সময় বন্দুকবাজদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ভারতীয় ছাত্র সাই তেজা। তেলঙ্গানার (Telengana) বাসিন্দা ২২ বছরের সাই তেজা সম্প্রতি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় (USA) গিয়েছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাওবাদী সরতেই প্রথম আলোর মুখ দেখল ছত্তিশগড়ের ছোট্ট গ্রাম, বইয়ের পাতা উল্টোলো কচিকাঁচারা
তেলঙ্গানার তরুণ সাই তেজা শিকাগোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করছিলেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তিনি পেট্রল পাম্পে আংশিক সময়ের কাজ করতেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতক শেষ করার পর তেজা উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমেরিকা যান। মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি শিকাগোতে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে তেজা পেট্রল পাম্পে ছিলেন। কাজের সময়সীমা শেষ হলেও এক সহকর্মীর অনুরোধে তিনি অতিরিক্ত সময় সেখানে ছিলেন। ঠিক সেই সময় একদল বন্দুকবাজ ওই পেট্রল পাম্পে উপস্থিত হয়। তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পাম্পে ঢুকেই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। একাধিক গুলি লাগে তেজার শরীরে, ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বন্দুকবাজদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার নয়া চমক! বিজয়া ভিট্টলা মন্দির স্তম্ভের কিউআর স্ক্যান করলেই বেজে উঠবে ধ্বনি
সাই তেজার আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তাঁদের মেধাবী ছেলে এভাবে প্রাণ হারাবে। তেজার বাবা-মা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তেজার দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।
তেজার এক বন্ধু জানিয়েছেন, “সাই খুব পরিশ্রমী এবং লক্ষ্যে অবিচল একজন মানুষ ছিল। নিজের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের জন্য সে আমেরিকা গিয়েছিল। কিন্তু এমন মর্মান্তিকভাবে তার জীবন শেষ হবে, তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।”
সাই তেজার মৃত্যু ভারতীয় ছাত্র এবং অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার শিকার হচ্ছেন বহু অভিবাসী। সম্প্রতি এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভারতীয় ছাত্ররা বন্দুকবাজদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
ঘটনাটি নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক নজর রাখছে। ভারতীয় দূতাবাস স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং দ্রুত সাই তেজার দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের একজন আধিকারিক বলেছেন, “আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি এবং সাই তেজার পরিবারের পাশে আছি।”
জাতীয় পতাকার অবমাননা, বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করল কলকাতার হাসপাতাল
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজদের হামলা এক বড় সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। ভারতীয় ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরও স্পষ্ট, কারণ তারা আংশিক সময়ের কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই এ ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হন।