‘আন্তর্জাতিক ভিক্ষায় বেঁচে আছে’! রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে কড়া জবাব ত্যাগীর

রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০ তম অধিবেশন চলছিল। সেই অধিবেশনেই পাকিস্তানকে করা ভাষায় কার্যত কোনঠাসা করে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ ক্ষিতিজ ত্যাগী। ঘটনাটি ঘটেছে জেনেভায় ৮…

United Nations

রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০ তম অধিবেশন চলছিল। সেই অধিবেশনেই পাকিস্তানকে করা ভাষায় কার্যত কোনঠাসা করে দিয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ ক্ষিতিজ ত্যাগী। ঘটনাটি ঘটেছে জেনেভায় ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলতি ৬০তম অধিবেশনের ৫ম বৈঠকে। পাকিস্তান ভারতের মানবাধিকার অবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরলে ভারত ‘রাইট অফ রিপ্লাই’ ব্যবহার করে জবাব দিয়েছে।

ত্যাগী পাকিস্তানকে ‘ডাম্প ট্রাক’-এর সাথে তুলনা করে বলেছেন, এই দেশ ‘পুনরাবৃত্তিমূলক মিথ্যা এবং পুরনো প্রচার’ ছড়ায়। তিনি উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত পুলওয়ামা, উরি , পাঠানকোট, মুম্বই এবং সাম্প্রতিক পহেলগাঁও হামলার ঘটনা। পহেলগাঁও হামলাকে তিনি ‘আনন্দের মেডোকে হত্যাক্ষেত্রে পরিণত করা’ বলে বর্ণনা করেছেন। এছাড়া, ৯/১১ হামলার বার্ষিকী উল্লেখ করে বলেছেন যে, পাকিস্তান অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছে।

   

ভারতীয় কুশলী কূটনীতিক ক্ষিতিজ ত্যাগী এই ধরনের তীক্ষ্ণ বক্তব্যের জন্য পরিচিত। ফেব্রুয়ারিতে ৫৮তম অধিবেশনে তিনি পাকিস্তানকে ‘আন্তর্জাতিক দানের উপর বেঁচে থাকা ফেলড স্টেট’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ত্যাগী বলেছেন, “আমাদের সংযমী এবং সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়া পহেলগাঁও হামলার পর স্পষ্ট করে দিয়েছে।

আমরা একটি সন্ত্রাস স্পনসরের কাছ থেকে কোনো পাঠ শিখতে চাই না, কোনো উপদেশ নিতে চাই না একজন নির্যাতকের কাছ থেকে।” তিনি পাকিস্তানের ‘প্যাথলজিক্যাল ফিক্সেশন’কে সমালোচনা করে বলেছেন যে, তারা আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক প্রচারের জন্য অপব্যবহার করছে।

Advertisements

ভারতের এই জবাব আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা পেয়েছে। বিজেপি নেতারা এটিকে ‘কূটনৈতিক বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। কংগ্রেস এই ঘটনার প্রতিক্রিয়াতে বলেছে যে, ভারতের মানবাধিকার রেকর্ডকে আরও উন্নত করা দরকার। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট, সামরিক শাসন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ত্যাগী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোকে সামনে তুলে ধরেছেন। ভারতের অবস্থান স্পষ্ট।কাশ্মীর ভারতের অভ্রান্ত অংশ, এবং পাকিস্তানের অবৈধ দখল (পাক-অধিকৃত কাশ্মীর) খালি করা উচিত।

8th Pay Commission 2025: কবে ঘোষণা হতে পারে? কারা লাভবান হবেন জানুন বিস্তারিত

এই অধিবেশন মানবাধিকারের গ্লোবাল ইস্যু নিয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম, কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা এটিকে রাজনৈতিক ময়দানে পরিণত করেছে। ত্যাগীর বক্তব্য ভারতের কূটনৈতিক দক্ষতার প্রমাণ, যা সন্ত্রাসবাদ এবং প্রচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান দেখিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের এই ফোরামে ভারতের কণ্ঠস্বর আরও শক্তিশালী হয়েছে, এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন এই বিতর্কের ফলাফলের দিকে নজর রাখছে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News