বেজিং: ভারতের পর ট্রাম্পের শুল্ক (Tariff) ত্রাসের ঢেউ আছড়ে পড়েছে চিনে (China)। চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ১০০% শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Doanld Trump)। পাল্টা প্রত্যাঘাত বরদাস্ত করা হবে না, কূটনৈতিক আলোচনার টেবিলেই সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার চোখ রাঙানি নিয়ে এবার মুখ খুলল বেজিং।
চিনের (China) বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, শুল্ক যুদ্ধ চাই না, তবে সেরকম পরিস্থিতি দাঁড়ালে পিছু হঠবে না চিন। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমেরিকা একগুঁয়েমি করলে চিনও নিশ্চিতভাবেই নিজেদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
প্রসঙ্গত, চিনের সামরিক পণ্য, খনিজ দ্রব্য এবং অন্যান্য জিনিসের উপর আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১০০% আমদানি শুল্ক আরোপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে খনিজ দ্রব্যের রফতানি নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০% খনিজ সম্পদ এবং কৌশলগত খনিজ সম্পদের প্রক্রিয়াকরণের ৯০% অংশ বাজার চিনের দখলে রয়েছে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি কার্যকর হলে নতুন রফতানি নিয়ম অনুসারে, বিদেশী কোম্পানিগুলিকে চিনকে স্বল্প পরিমাণ বিরল খনিজ পণ্য (Rare Earth Elements) পরিবহনের জন্যও বিশেষ লাইসেন্স নিতে হবে। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে মূলত অর্থনৈতিক অস্ত্র হিসেবে দেখছে। চিনের বিরুদ্ধে “বিশ্বকে বন্দী করে রাখার” অভিযোগ এনেছে আমেরিকা। বিরল খনিজ পদার্থের রফতানির বিষয়ে চিনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র আমেরিকার নয় বরং বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই হুমকি-স্বরূপ।
চিনের প্রতিক্রিয়া
চিনের বাণিজ্য মন্ত্রণকের পোস্টে বলা হয়েছে ,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বেশ কয়েকটি নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার মধ্যে মার্কিন রফতানি নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকা চিনা কোম্পানির সংখ্যা বৃদ্ধি করাও অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি, চিনা জাহাজগুলির উপর নতুন বন্দর ফি বাড়ানো নিয়ে চিনের উদ্বেগকে উপেক্ষা করছে ওয়াশিংটন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকার জাহাজের উপরেও বন্দর ফি আরোপ করবে বলে জানিয়েছে চিন।