ট্রাম্পের রানিং-মেট ভ্যান্স, ছিলেন নাস্তিক, কীভাবে হিন্দু স্ত্রীর প্রভাবে হলেন আস্তিক?

আমেরিকার তরুণ রাজনীতিক। একদা তীব্র ট্রাম্প বিরোধী। সেই জেডি ভ্যান্সকেই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের রানিং-মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত…

how wife Usha Chilukuris Hindu faith guided JD Vance Donald Trumps VP pick, ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ভ্যান্স, ছিলেন নাস্তিক, কীভাবে হিন্দু স্ত্রীর প্রভাবে হলেন আস্তিক?

আমেরিকার তরুণ রাজনীতিক। একদা তীব্র ট্রাম্প বিরোধী। সেই জেডি ভ্যান্সকেই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের রানিং-মেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনীত করে তাক লাগিয়েছেন। জেডি ভ্যান্স বর্তমানে ওহাইওর সিনেটর। ভ্যান্স ডেমোক্রেট থেকে হয়েছেন রিপাবলিকান। মতাদর্শের মতই একদা নাস্তিক ভ্যান্সের অধ্যাত্মিক চিন্তাতেও বদল এসেছিল। ঘোর নাস্তিক থেকে ক্রমশ হয়ে উঠেছিলেন আস্তিক। ধর্মে ক্রমশ তাঁর বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে ভ্যান্স নিজের ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা চিলুকুরিকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ফক্স নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের রানিং-মেট জানিয়েছেন যে, স্ত্রীর হিন্দু ধর্মে অগাদ বিশ্বাসই তাঁর উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল। ফলে ধর্মে যেমন তাঁর বিশ্বাস ফিরেছে, তেমনই পেশাগত জীবনও সুস্পষ্ট একটি দিকে এগিয়েছে।

কীভাবে উষার আধ্যাত্মিক চেতনা জেডি ভ্যান্সকে বদলে দিল?

   

Deseret.com -এ উল্লেখ, ভ্যান্স বলেছিলেন যে- তিনি একজন যুবক হিসাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছিলেন। তবে কোনও ধর্মীয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। একসময় তিনি নিয়মিত ইভাঞ্জেলিক্যাল চার্চে যেতেন। কিন্তু ২০১০ সাল নাগাদ, ভ্যান্স যখন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ঢোকেন, তখন তিনি গির্জা এবং ঈশ্বর- উভয় থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমি নিজেকে নাস্তিক বলতাম’।
কিন্তু, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই ফের ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন জেডি ভ্যান।

এই ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তেন ভ্যানের স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি। সেখান থেকে ইতিহাসে স্নাতক উষা। বিশ্ববিদ্যালয়েই জেডি-উষার পরিচয়। তারপর থেকেই ভ্যানের জীবনে বদল ঘটে। যেমন জীবনে আসে ভালবাসার মানুষ, তেমনই আধ্যাত্মিক চেতনারও বিকাশ ঘটে।

২০১৪ সালেভ্যান্স এবং ঊষা বিয়ে করেছিলেন। যেখানে একজন হিন্দু পুরোহিত একটি পৃথক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন।

২০১৬ সালের ভ্যান্স Deseret.com-কে বলেছিলেন যে, তিনি নিজেকে দ্রুত একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন। ভ্যানের কথায়, ‘আমি গত এক বছর ধরে গির্জায় যাচ্ছি। আমার যতটা পাওয়া উচিত ছিল না, তার চেয়ে বেশি পাচ্ছি। আমি ক্যাথলিক ধর্মে ডুব দেওয়ার কথা ভাবছি। আমার স্ত্রী উষাও আমার বিশ্বাসকে মর্যাদা দিচ্ছেন।’ এরপর ২০১৮ সালে জেডি ভ্যান ক্যাথলিক চার্চে ব্যাপ্টিজিম লাভ করেন।

সেই সময় ফক্স নিউজকে ভ্যান জানিয়েছিলেন যে, স্ত্রী ঊষা তাঁর বিশ্বাসের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের সময় অত্যন্ত সহায়ক ছিলেন।

আউটলেট-কে ট্রাম্পের রানিং-মেট বলেছেন, ‘আমি খ্রিস্টান হয়ে বড় হয়েছি কিন্তু কখনও দিক্ষা নিইনি। আমি ২০১৮ সালে প্রথম দিক্ষা নিয়েছিলাম। উষা আসলে অ-খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছেন। তিনি খ্রিস্টান নন। কিন্তু আমার মনে আছে, আমি যখন আমার নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হতে শুরু করি, তখন ঊষা খুব সহায়ক ছিল।’

কেন তিনি স্বামীকে সেই সময় প্রবল সমর্থন করেছিলেন? ভ্যানের স্ত্রীর উষার ব্যাখ্যা, ‘আমি একটি ধর্মীয় পরিবারে বড় হয়েছি। আমার বাবা-মা হিন্দু। এ জন্যই তাঁরা ভাল অভিভাবকহতে পেরেছেন। আমি মনে করি, আমি আমার নিজের জীবনে ধর্মের প্রতি অনুগত থাকার শক্তি দেখেছি। আমি জানতাম যে জেডি কিছু একটা খুঁজছিল। সেই অনুভূত ছিল আধ্যাত্মিক।’

জেডি এবং উষার তিন সন্তান রয়েছে। পরিবার এবং তাঁদের সন্তানদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে তাঁরা উভয়ই এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।