এভারেস্টের দেশে Hotel ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন!

কাঠমান্ডু: এভারেস্টের দেশ নেপালের জিডিপিতে ৬.৭ শতাংশ অবদান রাখে পর্যটন শিল্প। কৃষিকাজের পর নেপালের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে…

এভারেস্টের দেশে Hotel ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন!

কাঠমান্ডু: এভারেস্টের দেশ নেপালের জিডিপিতে ৬.৭ শতাংশ অবদান রাখে পর্যটন শিল্প। কৃষিকাজের পর নেপালের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৭৬ পর্যটককে আপ্যায়ন করেছিল নেপাল। আর সেই পর্যটন শিল্পের অন্যতম অঙ্গ হোটেল (Hotel) ব্যবসা আজ প্রায় ধংসের মুখে।

বিদেশী মুদ্রা আমদানির অন্যতম সেক্টর বর্তমানে আন্দোলনের নামে অরাজকতা চালানো দুষ্কৃতিদের হাতে জ্বলছে! জেন-জি (Gen Z) বিপ্লবের সূত্র ধরে নেপালের গণঅভ্যুত্থানের রোষে দেশের হোটেল ব্যবসার প্রায় ২৫ বিলিয়ন নেপালি রুপির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হিলটন থেকে হায়াত রিজেন্সি, দেশের নামীদামী হোটেলগুলো (Hotel) বর্তমানে পোড়া ধ্বংসস্তূপ।

   

নেপালের হোটেল অ্যাসসিয়েশনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২৪ সালে উদ্বোধন হওয়া কাঠমান্ডুর শঙ্কর গ্রুপের হিলটন হোটেল। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ বিলিয়ন নেপালি রুপি, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে নিজের দেশেরই অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনছে নেপালের উন্মত্ত জনতা বলে মন্তব্য করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

Advertisements

পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সিংহদার সহ একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেলে নেপালে “আর থাকবে কি?” বলে প্রশ্ন করছেন ভারতে থাকা নেপালিরাও। যেখানে চাকরির সন্ধানে নিত্যদিন দেশের প্রায় হাজারেও বেশি যুবকযুবতিকে দেশের বাইরে যেতে হয়, সেখানে বিপ্লবের নামে নিজের দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

আন্দোলনের নামে ধ্বংসলীলা চালানো দুষ্কৃতিদের থেকে যদিও নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন জেন-জি (Gen Z)। তাঁদের সদর্থক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করে ভাঙচুর, লুটপাট চালাচ্ছে কিছু শ্রেণীর সংগঠন এবং অপরাধি বলে জানিয়েছে ‘হামি নেপালি’, ‘জেন জি নেপাল’, ‘হাউ টু দেশ বিকাশ’-এর মত সংগঠন। বর্তমানে যে অরাজকতা ছড়ানো হচ্ছে তাঁতে আসল ‘জেন-জি’ (Gen Z) আন্দোলনকারীরা যুক্ত নয় বলে বিবৃতি দিচ্ছেন তাঁরা।