আমেরিকার নিউইয়র্কে অবস্থিত বিএপিএস স্বামী নারায়ণ মন্দিরে (BAPS Shri Swaminarayan Mandir) ভাঙচুরের চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও কটূ উক্তি করা হয়। অজ্ঞাত হামলাকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট মন্দির ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করে বলেছে যে এটি একটি জঘন্য অপরাধ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থাও বার্তা দিয়ে নিউইয়র্কের মেলভিলে বিএপিএস স্বামী নারায়ণ মন্দিরের অপবিত্রতার নিন্দা করেছে। উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাস (Consulate General of India in New York) থেকে টুইটারে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘নিউইয়র্কের মেলভিলে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর অগ্রহণযোগ্য। দূতাবাস সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং এই জঘন্য ঘটনার অপরাধীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মার্কিন আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি তুলে ধরেছে।‘
বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা এই অপরাধ করেছে তাদের বিদ্বেষ থেকে মুক্তি পেতে এবং সাধারণ মানবতা দেখার জন্য আমরা প্রার্থনা করেছি। বিএপিএস স্বামী নারায়ণ সংস্থা বলেন,
“আজ, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, আমরা দুঃখিত যে আমাদের আবারও ঘৃণা ও অসহিষ্ণুতার মুখে শান্তির জন্য আবেদন করতে হবে। গত রাতে, নিউইয়র্কের মেলভিলের BAPS শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরকে ঘৃণার বার্তা দিয়ে অপবিত্র করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। “উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন হিন্দু মন্দিরে একই ধরনের অপবিত্রতার ঘটনা ঘটেছে।”
The vandalism of the BAPS Swaminarayan Temple in Melville, New York, is unacceptable ; The Consulate @IndiainNewYork is in touch with the community and has raised the matter with U.S. law enforcement authorities for prompt action against the perpetrators of this heinous act.…
— India in New York (@IndiainNewYork) September 16, 2024
ify;”>
অন্যদিকে হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনও এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এক্স-এর একটি পোস্টে, আমেরিকার বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের উচিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরে হামলার তদন্ত করা। সম্প্রতি হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কারণ এই সপ্তাহান্তে নাসাউ কাউন্টিতে ভারতীয় সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
