Bee Tea: খেয়েছেন মৌমাছির চা? এক চুমুকেই স্বর্গ সুখ

এক কাপ চা দিয়ে দিন শুরু করলে শরীর ও মন যেন তরতাজা হয়ে ওঠে। তবে নজরে আসল এক বিরল দৃশ্য। চিনির পাত্রে কিলবিল করছে এক…

এক কাপ চা দিয়ে দিন শুরু করলে শরীর ও মন যেন তরতাজা হয়ে ওঠে। তবে নজরে আসল এক বিরল দৃশ্য। চিনির পাত্রে কিলবিল করছে এক ঝাঁক মৌমাছি। দুধের কাপ, চায়ের কৌটো সহ গোটা দোকান জুড়ে রয়েছে মৌমাছিদের আনাগোনা। তবে এইসব মৌমাছিদের কখনোই তাড়িয়ে দেয় না দোকানদার জাকারিয়া নিশান। তিনি মৌমাছি চা বিক্রি করেন। তার এই অভিনব চা মিলবে ঢাকা শহরে।

চা বানানোর সময় কখনই মৌমাছিদের প্রতি বিরক্ত হয় না দোকানের মালিক বরং মৌমাছিদের আলতো ভাবে সরিয়ে চা বানানোর কাজ করেন। মৌমাছিদের সঙ্গে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে অবাক হয় চা খেতে আসা মানুষেরা। চা খেয়ে জানান তাদের অনুভূতি। চা খেতে আসা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ” আমি আজ 4-5 বছর ধরে এই দোকানেই চা খেতে আসি। পাশে কোনও দোকানে এমন সুস্বাদু চা খাইনি। এই চা অনেক বেশি সুস্বাদু”।

দোকানের মালিক জাকারিয়ার বাড়ি বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার সদরের হাজিরপুর ইউনিয়নে। কাজের তাগিদে ঢাকার কাফতান বাজারে থাকেন তিনি। দীর্ঘ 12 বছর ধরে চা বিক্রি করছেন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের ফুটপাতের ছোট্ট দোকানটিতে। প্রতিদিন চা বিক্রি করে তার আয় হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা মত। মৌমাছির কারণেই তার দোকানে ভালো বেচাকেনা হয় বলে মনে করেন দোকানের মালিক।

অন্যান্য চা দোকানের মতোই জাকারিয়ার দোকানে পাওয়া যায় দুধ চা, লেবু চা আবার আদা দিয়ে লিকার চা। তবে সারাদিন চিনির উপর মৌমাছিদের বিচরণ থাকায় অনেকে এর নাম দিয়েছেন মৌমাছি চা। তাই এই এলাকায় অন্যান্য দোকান থাকলেও বিশেষভাবে সকলের নজর পড়ে এই দোকানটিতে। কৌতূহলের বসে অনেক পথচারী আসেন এই দোকানে চায়ের স্বাদ নিতে। জাকারিয়ার যত্নে এই দোকান জুড়ে রয়েছে মৌমাছির দল। এই মৌমাছিরা কাউকে সচরাচর কামড়ায় না যদি না কেউ তাকে আঘাত করে।

তবে এই মৌমাছির বিষয় অনেকের ভিন্ন মত রয়েছে কারণ অনেকের ক্ষেত্রে এই মৌমাছি কোনও জীবাণু ছড়ায় না। আবার অনেকের মতে এই মৌমাছির পাখায় হূলে ও পায়ে অনেক রকমের জীবাণু বহন করে। তবে মশা বা মাছির মত এমন কোনও জীবাণু এই মৌমাছিরা বহন করে না যা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।