ওয়াশিংটন: গাজাবাসির উপরেই হামলার ছক কষছে প্যালেস্তানীয় সন্ত্রাসী দল হামাস (Hamas)। মার্কিন সময় অনুযায়ী শনিবার এমনটাই দাবী করল ওয়াশিংটন। তাঁদের কাছে নাকি এই নিরিখে ‘বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য আছে’ বলে জানালো আমেরিকা।
যদি হামাস গাজাবাসীর উপর আক্রমণ করে তাহলে তা যুদ্ধ-বিরতি (Ceasefire) লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং মধ্যস্থতা ও শান্তি চুক্তির উপর তার যথাযথ প্রভাব পড়বে বলে সাফ জানিয়ে দিল আমেরিকা। যদিও হামাসের বিরুদ্ধে ঠিক কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও ট্রাম্পের হুমকি থেকে তা আন্দাজ করা যাচ্ছে।
ট্রাম্প বলেছিলেন, “হামাস যদি গাজার সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ বন্ধ না করে, তাহলে আমাদেরও হামাসের (Hamas) সন্ত্রাসীদের হত্যা করা ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না”। ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হওয়ার পর গাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহরগুলির উপর হামাস তাঁদের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে শুরু করেছে বলে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তথ্য সামনে উঠে আসে। হামাস তাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে যেখানে আটজন সন্দেহভাজনকে চোখ বেঁধে হাঁটু গেড়ে রাস্তায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
গাজা-ইজরায়েল শান্তিচুক্তি
গত শুক্রবার গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে বন্দী-মিনিময় শুরু করে ইজরায়েল ও হামাস। তবে বন্দী বিনিময় শুরু হতেই এই শান্তি চুক্তি যে কতটা ‘নড়বরে’ তার প্রমাণ একের পর এক সামনে উঠে আসতে শুরু করে। বন্দীদের ‘ভুল’ মৃতদেহ ফেরত দেওয়া, সকল মৃত বন্দীর দেহাবশেষ ফেরত না দেওয়া নিয়ে হামাস-ইজরায়েল চাপানউতোর এখনও অব্যাহত।