গাজা যুদ্ধের অবসান নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে নতুন মোড় নিল পরিস্থিতি। শুক্রবার হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা প্রস্তাবিত পরিকল্পনার কিছু দিক মেনে নিতে রাজি, যার মধ্যে রয়েছে সমস্ত ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি এবং গাজার প্রশাসন হস্তান্তর। তবে বাকি শর্তগুলো নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনার প্রয়োজন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
কী বলল Hamas?
রয়টার্সের হাতে পাওয়া বিবৃতিতে হামাস জানায়,
“আমরা সব দখলদার বন্দি — জীবিত এবং মৃতদেহ উভয়ই — ট্রাম্পের প্রস্তাবে উল্লেখিত বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। তবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র-পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।”
সংগঠনটি আরও জানায়, তারা গাজার প্রশাসন একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট বা সর্বসম্মত ফিলিস্তিনি সংস্থার হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত, যা আরব ও ইসলামী দেশগুলির সমর্থন পাবে।
কোন বিষয়গুলোতে আপত্তি?
Hamas তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি তারা ট্রাম্প পরিকল্পনার সবচেয়ে বিতর্কিত অংশ— অস্ত্র সমর্পণ (Disarmament) — মেনে নেবে কি না। উল্লেখ্য, এর আগেও ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবিকে তারা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে কী আছে?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী—
- অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি
- হামাসের হাতে থাকা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি
- ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়
- ধাপে ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সরে যাওয়া
- হামাসের নিরস্ত্রীকরণ
- আন্তর্জাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইতিমধ্যেই ইসরায়েল, আরব এবং ইউরোপীয় দেশগুলো ট্রাম্প পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে। তবে হামাসের আংশিক সম্মতি পরিস্থিতিকে নতুন আলোচনার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।