Election: ভোট যুদ্ধে পুতিন-মোদী-হাসিনা, ৮০টি দেশের সরকার হবে চলতি বছর

২০২৪ সাল বিশ্বের বেশ কয়েকটি বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে নির্বাচনের (Election) জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বছর। প্রায় ৮০ টি দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যা কিনা বিশ্বের…

২০২৪ সাল বিশ্বের বেশ কয়েকটি বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে নির্বাচনের (Election) জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বছর। প্রায় ৮০ টি দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যা কিনা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। আশা করা যায় এগুলোর মধ্যে কিছু নির্বাচন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ হবে আবার কিছু নির্বাচনে সেরকম হবেনা। তবুও এই নির্বাচনগুলোই আগামী বছরগুলোতে বিশ্বে বড় প্রভাব ফেলবে। আসুন এগুলোর কয়েকটিতে নজর দেওয়া যাক।

রাশিয়া
আগামী মার্চে রাশিয়াতে  নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর তাতেই স্বাভাবিক কারণে ভ্লাদিমির পুতিনের জয় নিশ্চিত। কারণ আসল প্রতিপক্ষকে নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দেওয়া হবে। এবং স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে দেশটি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে নির্বাচনে প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোটার উপস্থিতি রাশিয়ার দীর্ঘদিনের এই নেতার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ভারত
ভারতের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে নির্বাচনে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মুসলিম-বিরোধী নীতি অনুস্মরণের অভিযোগের কারণে কেউ কেউ তাকে বিভিক্তের সৃষ্টিকারী হিসেবেও দেখেন। নিঃসন্দেহে ক্ষমতাইয় থাকার ১০ বছরের সময়কালকে আরও লম্বা করতেই নির্বাচনে যাবেন তিনি।

ইংল্যান্ড
এদিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে আছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। ২০২৯ সালে ক্ষমতাসীন কন্সার্ভেটিভ পার্টি নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে দলটির ভাগ্য নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। গত ৫ বছরের মধ্যে দলটি তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মিস্টার সুনক। রাজনৈতিক নানা স্ক্যান্ডেল এবং দলের ভিতরে অস্থিতিশীলতার কারণে দলটির প্রতি একধরণের অনীহা তৈরি হয়েছে ভোটারদের। আইন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ২০২৫ সালে নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে তা অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিভিল রামাফোসা ও ক্ষমতাশীল এএনসি পার্টি ২০২৪ সালের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বর্ণবাদ অবসানের পর থেকে এই প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে গত ৩০ বছর ধরে টানা ক্ষমতায় আছে এএনসি। বেকারত্ব ও অপরাধ-প্রবণতাইয় ভুগছে আফ্রিকার সবচেয়ে এগিয়ে থাকার দেশটির অর্থনীতি। একই সঙ্গে লম্বা সময় ধরে চলা জ্বালানীর সঙ্কটে ফেলেছে লোডশেডিংও। প্রভাবশালী দল হওয়ায় ক্ষমতায় পুরোপুরি হারানোর সম্ভাবনা নেই ANC-র। তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে তাদের জোটে জেতা হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বরে। আপাতভাবে এটি গতবারের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদের জয়ের জন্য নির্বাচনে লড়বেন। যদিও মেয়াদ শেষে তার বয়স হবে ৮৬। তবে হোয়াইট হাউসে ফিরতে চেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। এই লড়াই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা এর মধ্যে দিয়েই ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, মধ্যপ্রাচ্য দেশটির ভূমিকা এবং শত্রু ও মিত্রদের সঙ্গে এর সম্পর্ক প্রভাবিত হবে।

মেক্সিকো
তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিবেশি মেক্সিকোর দৃশ্যপট অনেকটাই আলাদা। নির্বাচনের দৌড়ে থাকা প্রধান দুই প্রার্থীই মহিলা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যেই জিতুক না কেন প্রথমবারের মতো কোন মহিলা প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে এই দেশটি। তবে এসব নির্বাচনের আগে ছোট্ট একটি দ্বীপের নির্বাচন বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

তাইওয়ান
জানুয়ারিতে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে যাচ্ছে তাইওয়ান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র, সাহিত্য-শাষিত এই অঞ্চলটিকে চিন নিজের অংশ বলে মনে করে। চিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান এমন প্রার্থী হোক কিংবা স্বাধীনভাবে চলাকেও, ভোটাররা যাকেই বেছে নিক না কেন শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে চলমান বিবাদকে তা প্রভাবিত করবে।

বাংলাদেশ
নতুন বছরের শুরুতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন। প্রধান বিরোধী দিল বিএনপি-র অংশ না নেওয়ায় ৭ ই জানুয়ারি নির্বাচনে ক্ষমতাশীল আওয়ামি লিগকে শক্তিশালী কোনও প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। ফলেই তারা তিন মেয়াদি ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।