Salman Rushdie: ‘খবর ভালো না’ জানালেন রুশদির আপ্তসহায়ক, হামলাকারীর সঙ্গে ইরান সংযোগ?

প্রাণঘাতী হামলায় মারাত্মক জখম হয়ে ভেন্টিলেশনে আছেন বিতর্কিত লেখক (Salman Rushdie) সলমন রুশদি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যান্ড্রু ওইলি বলছেন খবর ভালো নয়। রুশদি কথা বলতে…

প্রাণঘাতী হামলায় মারাত্মক জখম হয়ে ভেন্টিলেশনে আছেন বিতর্কিত লেখক (Salman Rushdie) সলমন রুশদি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী অ্যান্ড্রু ওইলি বলছেন খবর ভালো নয়। রুশদি কথা বলতে পারছেন না। এদিকে রুশদির উপর হামলার জেরে বিশ্ব জু়ড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। আবার রক্ষণশীল ইসলামপন্থীদের দিক থেকে আসছে বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক উক্তি।

নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে হাদি মাতার নামে এক যুবক রুশদিকে ছুরি দিয়ে পরপর আঘাত করে। এর পরেই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। রক্তাক্ত রুশদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয়। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। হয়তো তিনি এক চোখ হারাতে পারেন। 

খুনের লক্ষ্যেই হামলা হয়েছিল। তবে সফল হয়নি হামলাকারী হাদি মাতার। ছুরি দিয়ে রুশদির ঘাড়ে এবং তলপেটে মারাত্মক আঘাত করে হাদি মাতার।
সে নিউ জার্সির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে খুন করা হয়েছে? তা এখনও জানা যায়নি৷

তদন্তে নেমে হাদির বিষয়ে যা তথ্য পাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাতে জানা যাচ্ছে সে ইরান সরকারের সমর্থক। ইরানের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রচার করত হাদি।

এদিকে আশির দশক থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সলমন রুশদি তাঁর বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেসের জন্য বিতর্কের মুখে পড়েছেন৷ এই বই নিষিদ্ধ করেছে ইরান সরকার৷ ইরানের ততকালীন সর্বচ্চো নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনির নির্দেশে রুশদির ইরান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ফতোয়া জারি করেন খোমেনি। এর পর থেকে বারবার খুনের হুমকি পেতে হয়েছে রুশদিকে। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস বইটি বহু মুসলিম ধর্ম অবমাননাকারী বলে মনে করেন। বিতর্কিত বইটি ১৯৮৮ সালে ইরান সরকার নিষিদ্ধ করে।