H-1B ভিসা ফি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল, ভারতীয় ছাত্র-প্রফেশনালদের জন্য স্বস্তির বার্তা

H-1B Visa Fee Clarification

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত ভারতীয় পেশাজীবী ও ছাত্রদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি H-1B ভিসার জন্য ঘোষিত বিতর্কিত 100,000 ডলার (প্রায় ৮৯ লক্ষ টাকা) ফি সংক্রান্ত অবস্থান স্পষ্ট করল। সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রোক্লেমেশনের মাধ্যমে এই ফি চালু হলেও, তা নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাপক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।

Advertisements

বিভ্রান্তির অবসান

আমেরিকায় H-1B ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির অবসান ঘটাল ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS) এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন প্রেসিডেন্সিয়াল প্রোক্লেমেশন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য হবে।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (USCIS) জানিয়েছে, এই ফি শুধুমাত্র তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁরা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর পর নতুন H-1B আবেদন করেছেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে রয়েছেন, যাঁদের কাছে বৈধ H-1B ভিসা নেই। এছাড়া, যেসব আবেদন কনস্যুলার নোটিফিকেশন, পোর্ট অফ এন্ট্রি নোটিফিকেশন বা প্রি-ফ্লাইট ইন্সপেকশনের জন্য করা হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও এই ফি প্রযোজ্য হবে।

অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না H-1B Visa Fee Clarification

তবে সবচেয়ে বড় স্বস্তির বিষয় হল, যারা আমেরিকায় অবস্থান করছেন এবং ‘চেঞ্জ অফ স্ট্যাটাস’-এর মাধ্যমে ভিসা ক্যাটাগরি পরিবর্তন করছেন-যেমন F-1 ছাত্র ভিসা থেকে H-1B কর্মী ভিসায় রূপান্তর—তাঁদের ক্ষেত্রে এই অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। ফলে বহু ভারতীয় ছাত্র ও কর্মজীবী এই ফি থেকে ছাড় পাবেন।

Advertisements

প্রোক্লেমেশনটি চালু হয় ১৯ সেপ্টেম্বর, এবং শুরু থেকেই নিয়োগকর্তা ও আবেদনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। USCIS-এর এই নতুন নির্দেশনা সেই অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত যেমন ভারতীয় আবেদনকারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক, তেমনি মার্কিন নিয়োগকর্তাদের জন্যও তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এখন তারা আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারবেন কোন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নয়।

এই ঘোষণার ফলে মার্কিন অভিবাসন নীতিতে স্বচ্ছতা ও পূর্বাভাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।