‘দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের জার্মানিতে স্বাগত’, H1B ধাক্কার মাঝেই বড় বার্তা জার্মান রাষ্ট্রদূতের

Germany welcomes skilled Indian

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঝটকায় বদলে যাওয়া ভিসা নীতির ধাক্কায় যখন হাজার হাজার ভারতীয় তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে, তখনই ভরসার বার্তা দিল জার্মানি। ভারতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. ফিলিপ অ্যাকারম্যান জানিয়েছেন, দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের সর্বদাই স্বাগত জানায় জার্মানি।

Advertisements

এইচ-ওয়ান-বি ভিসার ফি লাফিয়ে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার

গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এইচ-ওয়ান-বি ভিসার ফি হু হু করে বাড়িয়ে দেন—২০০০-৩০০০ ডলার থেকে এক লাফে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার (প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা)। ফলে মার্কিন কোম্পানিগুলির পক্ষে বিদেশি কর্মী নিয়োগ কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে ভারতীয় প্রযুক্তি পেশাজীবীদের উপর, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গুগল, মেটা, অ্যামাজনের মতো মার্কিন টেক জায়ান্টে কাজ করার স্বপ্ন লালন করে এসেছেন।

এই অবস্থায় বার্লিন থেকে আশার আলো দেখাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত অ্যাকারম্যান। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, “এটা খুব ভাল সময় ভারতীয়দের জার্মানিতে কাজের প্রসঙ্গ তুলতে। ভারতীয়রা এখানে শীর্ষ উপার্জনকারীদের মধ্যে অন্যতম। গড় ভারতীয় কর্মীর আয় গড় জার্মান কর্মীর চেয়েও বেশি। উচ্চ আয়ের অর্থ হচ্ছে তাঁরা আমাদের সমাজ ও কল্যাণ কাঠামোয় বিশাল অবদান রাখছেন।”

মাইগ্রেশন পলিসি জার্মান গাড়ির মতো Germany welcomes skilled Indian

জার্মান কূটনীতিক আরও মন্তব্য করেন, “আমাদের মাইগ্রেশন পলিসি জার্মান গাড়ির মতো—বিশ্বাসযোগ্য, আধুনিক ও পূর্বাভাসযোগ্য। আমরা হঠাৎ করে নিয়ম বদলাই না। দক্ষ ভারতীয়রা জার্মানিতে সবসময় স্বাগত।”

Advertisements

এছাড়া দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের জন্য একটি লিঙ্কও শেয়ার করেছেন অ্যাকারম্যান, যেখানে তিনি চমকপ্রদ সুযোগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

শুধু জার্মানি নয়, চীনও ট্রাম্পের এইচ-ওয়ান-বি সিদ্ধান্তের পর বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে। বেজিং জানিয়েছে, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক প্রতিভার প্রবাহ অপরিহার্য। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেন, “আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক প্রতিভাদের স্বাগত জানাই। বৈশ্বিক অগ্রগতি ও মানবতার সেবায় তাঁদের অবদান অত্যন্ত জরুরি।”

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন দক্ষ অভিবাসীদের জন্য দরজা প্রায় বন্ধ করেছে, তখন জার্মানি ও চীনের মতো শক্তিধর দেশগুলি সেই শূন্যতা পূরণে নতুন করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে।