কাঠমান্ডু, ৫ অক্টোবর: নেপালে শুক্রবার থেকে অবিরাম প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত (Nepal Flood) হয়েছেন এবং কয়েকজন লোকের উদ্ধার অভিযান চলছে। এই বিপর্যয় মূলত কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং তার আশেপাশের পাহাড়ি অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যা দেশের রাজধানীকে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
নেপালের সীমান্তবর্তী উত্তরবঙ্গের (পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল) কিছু অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে, যেখানে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে নদীভরা বাড়ি এবং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপালের আর্মড পুলিশ ফোর্সের হেডকোয়ার্টারের তথ্য অনুসারে, মৃতদের মধ্যে ৩৬ জন কোশি প্রদেশে এবং ৩ জন মাধেশে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১১ জন লোকের খোঁজ এখনও চলছে এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন।
অযোধ্যায় আলোর উৎসবের মহা আয়োজন, শেষ পর্যায়ে দীপোৎসব প্রস্তুতি
নেপালের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিশিরাম তিওয়ারি বলেছেন, “প্রবল বৃষ্টির কারণে বাগমতী নদীসহ অনেক নদী উচ্চতর স্তর ছাড়িয়েছে, যা কাঠমান্ডুতে স্থানীয় সড়ক এবং বাড়িঘর ডুবিয়ে দিয়েছে।” কাঠমান্ডু, যা পাহাড়ে ঘেরা এবং মন্দিরশোভিত রাজধানী, এখন সড়কপথে দেশের অন্যান্য অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রিথভি হাইওয়ে সহ কয়েকটি প্রধান সড়ক ভূমিধসে বন্ধ হয়ে গেছে এবং বন্যায় কিছু সেতু ধুয়ে যাওয়ায় শত শত যাত্রী আটকে পড়েছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ইলাম জেলায় ভূমিধসে ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫ জনের খোঁজ নেই। উদয়পুরে বন্যা ও ভূমিধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশজুড়ে ২৮টি স্থানে ভূমিধসে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে, যা সরকারকে বুলডোজার এবং সেনাবাহিনীর সাহায্যে পরিষ্কার করতে হচ্ছে।
কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টের মুখপাত্র রিনজি শার্পা জানিয়েছেন, “ঘরোয়া ফ্লাইটগুলি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবে চলছে।” শনিবার থেকে কাঠমান্ডু উপত্যকায় তিন দিনের জন্য যানজট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাগমতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় নেপাল আর্মির সদস্যরা লোকেদের সম্পদ উদ্ধারে সাহায্য করছেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্যায় ডুবে যাওয়া রাস্তায় সেনারা লোকেদের বাসস্থান থেকে বের করে আনছেন। এই বিপর্যয়ে কয়েকশো পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে এবং স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।