শনিবার ভরসন্ধ্যায় ভূমিকম্পে কেঁপে গেল পাকিস্তান (Pakistan Earthquake)। পাক ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভূমিকম্প হয় পাকিস্তানে। রিখটার স্কেলে ভূকম্পন ছিল ৪.১ মাত্রা।
শনিবার দুপুরে দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়েছে ২.৬ মাত্রা। এই কম্পনের কিছু পর পাকিস্তানের মাটিতে আরও একটি ভূমিকম্প হয়। একদিনে ভারত ও পাকিস্তানে জোড়া ভূমিকম্প ঘটেছে। দীপাবলি উৎসব চলছে দুই দেশেই। তার মাঝে বারবার মাটি দুলছে।
ভারতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, দিল্লির ভূকম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে। পাকিস্তানের ভূকম্পন তথ্যে বলা হয়েছে এটিও ভূপৃষ্ঠের দশ কিলোমিটার নিচে হয়েছে।গত ৪০-৪৫ দিনে হিমালয় সন্নিহিত এলাকায় বারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর অধিকাংশেরই কেন্দ্র ছিল নেপাল। সবচেয়ে শক্তিশালী ভূকম্পন ধাক্কাটি আসে গত ৩ নভেম্বর। নেপালে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয় ৬.৪ মাত্রা। শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। নেপালে বারবার ভূমিকম্পের ধাক্কায় সংলগ্ন ভারতের অঞ্চলেও কন্পন হয়েছিল। সম্প্রতি আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু মৃত্যুর সংবাদ এসেছিল।
আসছে আরও বড় ভূমিকম্প। কী আশঙ্কা করছেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা। পড়ুন এই প্রতিবেদন: Earthquake Alert: বহু শতাব্দী প্রাচীন ৬০০ কিমি ফাটল ঘিরে হিমালয়ে বিরাট ভূমিকম্প সতর্কতা
বিজ্ঞানীদের মতে, হিমালয়ের নিচে চাপ তৈরি হচ্ছে কারণ ভারতীয় প্লেট তার উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে হিমালয়ের উপর চাপ সম্ভবত এক বা একাধিক বড় ভূমিকম্পের মাধ্যমে মুক্তি পাবে, রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার বেশি পরিমাপ করা হবে। বেশ কিছু বিজ্ঞানী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে হিমালয় অঞ্চলে ‘যে কোনও সময়’ একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানবে কারণ ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি উত্তরে সরে যাওয়ার সাথে সাথে ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত। প্রায় ৪০-৫০ মিলিয়ন বছর আগে ইউরেশিয়ান প্লেটের সাথে সংঘর্ষের জন্য ভারতীয় প্লেট ভারত মহাসাগর থেকে উত্তরে চলে গেলে হিমালয় তৈরি হয়েছিল।