Banagladsh: আমাকে নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাবেন না, শেখ হাসিনার মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কি ফের একতরফা হতে চলেছে এমনই প্রশ্ন উঠল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে। তিনি বলেছেন আমাকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাবেন না।…

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কি ফের একতরফা হতে চলেছে এমনই প্রশ্ন উঠল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যে। তিনি বলেছেন আমাকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাবেন না। ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যের পর বিরোধী রাজনৈতিক মহল মনে করছে ভোট সুষ্ঠু হবে না। সংসদে না থাকলেও প্রধান বিরোধীপক্ষ বিএনপি বিশাল বিশাল জমায়েত করে বারবার নির্দলীয় সরকারের অধীন ভোট চাইছে। তবে দলনেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন। আর সংসদে থেকে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়া জাতীয় পার্টি নীরব। বিরোধী দলনেত্রী রওশন এরশাদ নীরব।

বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা বলে দেশ ও দেশের বাইরে এত মাতামাতি কেন হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে কিনা সে বিষয়েও তিনি সন্দিহান বলে জানিয়েছেন।আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও ইংল্যান্ড সফরের নানা দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে ‘একটু বেশি কথা’ বলে, সে কারণে বিদেশিরাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়। দুর্ভাগ্য হল সেটাই, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে, সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে তাদের (বিদেশিদের) উদ্বেগ দেখি নাই…।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকা হঠাৎ এবং অন্যান্য দেশ আমাদের দেশের নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ কি না প্রশ্ন তোলে, আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যখন মিলিটারি ডিকটেটর ছিল, যখন আমরা সংগ্রাম করেছি, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা সংগ্রাম করেছি ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য। আমরা স্লোগান দিয়েছি আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।

“৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, সেই জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া, এটা তো আওয়ামী লীগই করেছে। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ জোট, তারা এক হয়ে আন্দোলন করে, এজন্য আমাদের বহু রক্ত দিতে হয়েছে। আমি সে কথাটা বলেছি তাদেরকে (যুক্তরাষ্ট্রে)।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাকে নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম, এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা করেছি। আর সেই নির্বাচন হয়েছে বলেই জনগণ আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে, আর একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই, অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।আজকে যতটুকু বাংলাদেশের মানুষ পাচ্ছে, এটাতো আওয়ামী লীগ এবং আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তো এই উন্নতিটা হচ্ছে।”

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার বার বার একই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বাস্তব অবস্থাটা বোঝে কি না আমি জানি না, কিন্তু ভাঙা রেকর্ড বাজিয়েই যাচ্ছে। যারা ভোট চুরি করেছে তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনতে হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই তো ভোট চোর। এদেশের মানুষ জানে, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নতি হয়েছে। মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। দারিদ্রসীমা ৫ শতাংশে কমেছে।”