HomeWorldথার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ থেকে অভিবাসন আর নয়! নয়া নীতি ট্রাম্পের

থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ থেকে অভিবাসন আর নয়! নয়া নীতি ট্রাম্পের

- Advertisement -

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও কড়া অভিবাসন নীতি সামনে এনে আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করে তুললেন। বৃহস্পতিবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রকাশিত এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি জানান, তাঁর প্রশাসন এমন একটি নীতি চূড়ান্ত করছে—যার ফলে “সব থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ” থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ট্রাম্পের দাবি, এতে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থা “সম্পূর্ণভাবে পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠিত” হওয়ার সুযোগ পাবে।

এই বিস্ফোরক ঘোষণা আসে এমন সময়ে, যখন হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের একজনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত, আফগানিস্তান থেকে আশ্রয়প্রাপ্ত এক শরণার্থী। ঘটনার পরই আমেরিকা সরকার ১৯টি দেশের অভিবাসীদের স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি) পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

   

“অবৈধ প্রবেশকারীদের দেশ ছাড়তে হবে”

নিজের পোস্টে ট্রাম্প আরও স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি সব থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বিরতি দেব। বাইডেন আমলে যে লক্ষ লক্ষ অবৈধ প্রবেশ ঘটেছে, সেগুলি বাতিল করা হবে। যারা আমেরিকার সম্পদ নয় বা দেশকে ভালোবাসে না—তাদের অপসারণ ছাড়া উপায় নেই।”

তিনি আরও ঘোষণা করেন—

অ–নাগরিকদের প্রতি ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করা হবে।

যারা ঘরোয়া শান্তি বিঘ্নিত করে, এমন বিদেশিদের নাগরিকত্ব খারিজ করা হবে।

যাঁরা জননিরাপত্তা বা পশ্চিমা মূল্যবোধের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, তাঁদের দ্রুত বহিষ্কার করা হবে।

ট্রাম্পের অভিযোগ, বাইডেন প্রশাসনের সময় বহু মানুষ “অননুমোদিত অটোপেন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে” বেআইনি সুবিধায় আমেরিকায় প্রবেশাধিকার পেয়েছে। তাঁর দাবি, এই বিশৃঙ্খল প্রবেশ ঠেকানোই তাঁর প্রশাসনের অন্যতম লক্ষ্য।

হোয়াইট হাউসের কাছে গুলির পর ‘সন্ত্রাসী হামলা’ তকমা

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের অদূরে দুই ন্যাশনাল গার্ড জওয়ানের উপর গুলি চালায় এক আফগান শরণার্থী। ট্রাম্প এটিকে “জঘন্য সন্ত্রাসী আক্রমণ” বলে আখ্যা দেন।

ঘটনার পরদিন তিনি লেখেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকায় এমন সামাজিক অস্থিরতা দেখা যায়নি। মূল কারণ—অতিমাত্রায় শরণার্থী বোঝাই।”

ট্রাম্পের আরও দাবি, “এই সংকটের একমাত্র সমাধান ‘রিভার্স মাইগ্রেশন’। অর্থাৎ, যাঁরা আমেরিকার জন্য বোঝা হয়ে উঠেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়া আর পথ নেই।”

নির্বাচন ঘিরে অভিবাসন ইস্যুতে তাপ বাড়ছে

২০২৬ নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্পের এই ঘোষণা রিপাবলিকান রাজনীতিকে নতুন গতি দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলি কড়াভাবে বিরোধিতা করছে, বলছে—এটি আমেরিকার বহুত্ববাদী নীতির সঙ্গে অসঙ্গত, এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চর্চার পরিপন্থী।

অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবিরের দাবি—হোয়াইট হাউস সংলগ্ন ঘটনাই প্রমাণ করে, কঠোর অভিবাসন নীতি ছাড়া মার্কিন নিরাপত্তা রক্ষা সম্ভব নয়।

স্পষ্ট—ট্রাম্পের অবস্থান অভিবাসন বিতর্ককে আরও তীব্র করে তুলেছে, এবং আসন্ন নির্বাচনে এই ইস্যু কেন্দ্রীয় ভূমিকায় উঠে আসতেই চলেছে।

প্রয়োজনে আরও ধারালো, বিশ্লেষণমূলক বা রাজনৈতিক গভীরতাসম্পন্ন ভার্সন লিখে দিতে পারি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular