Cyclone Mocha: মগের মুলুকে মোকা তান্ডব, বিপদে ১ কোটির বেশি বর্মী

খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে সব। বড় বড় গাছগুলো মাটি থেকে উপড়ে পড়ছে। আর মানুষ ছিটকে পড়ছে! প্রবল ঘূর্ণির টানে বাড়ির চালা সমেত উড়ছে তেমনই কয়েকজন। …

খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে সব। বড় বড় গাছগুলো মাটি থেকে উপড়ে পড়ছে। আর মানুষ ছিটকে পড়ছে! প্রবল ঘূর্ণির টানে বাড়ির চালা সমেত উড়ছে তেমনই কয়েকজন।  ‘মগের মুলুক’ বলে কুখ্যাত মায়ানমারের (Myanmar)  রাখাইন রাজ্যে (পূর্বতন আরাকান) চলছে  (Mocha Cyclone) মোকা ঘূর্ণির তাণ্ডব।

বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, টেকনাফ ছুঁয়ে সম্পূর্ণ গতিমুখ পাল্টে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রবেশ করেছে। যদিও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আগে বলেছিলেন মোকা প্রথমে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঢুকবে। তারপর মায়ানমারে দিকে যাবে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে মোকার গতিমুখ কিছুটা সরে যায়। ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ মায়ানমারের দিকে যাওয়ায় বাংলাদেশের বিপদ কমেছে। যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ কমেছে।

বিবিসি জানাচ্ছে, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাণ্ডব চলছে মোকার। আবহাওয়া সংক্রান্ত রিপোর্টগুলিতে বলা হয়েছে ঝড়টি রবিবার মায়ানমারের উপকূলীয় শহর সিত্তের উপর আঘাত করে ২১৭ কিমি প্রতি ঘন্টা (ঘণ্টায় ১৩৫ মাইল) শক্তিশালী বেগে।  মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উপর আছড়ে পড়েছে এই ঘূর্ণি। স্থানীয় গণমাধ্যমের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে মোকার তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকা রবিবার মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলে গওয়া এবং কিয়াউকফিউ শহরের কিছু অঞ্চলকে ধ্বংস করে দেয়।  ‘মোকা’র প্রভাবে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছাড়াও চিন, শান এবং সাগাইং, ম্যাগওয়ে, বাগো ও মান্দালয়ের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) বার্তায় বলা হয়েছে।