China Aircraft Carrier: চিন তার সম্প্রসারণবাদী নীতির অংশ হিসেবে সমুদ্রের প্রতিটি ফ্রন্টে আমেরিকাকে ঘিরে রাখতে চায়। এই জন্য ড্রাগন দ্রুত তার সমুদ্র শক্তি বাড়াচ্ছে। চিন এখন এমন একটি রহস্যময় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করছে, যেটি হবে বিশ্বের প্রথম এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার। স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে। এটি সেই পরিকল্পনা যার মাধ্যমে শি জিনপিং এবং তার সেনাবাহিনী আমেরিকার আধিপত্যের অবসান ঘটাতে চায়।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে চিন বিপজ্জনক বিমানবাহী রণতরী তৈরি করছে। গুয়াংডংয়ের শিপইয়ার্ডে এই বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ করা হচ্ছে। ২৩ অক্টোবর প্ল্যানেট ল্যাব দ্বারা স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশিত হয়। ছবি থেকে এটা স্পষ্ট যে এই বিমানবাহী রণতরীটির ডিজাইন এবং আকৃতি অনেক আলাদা। এটি চিনের অন্যান্য এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
বিভিন্ন ধরনের বিমানের মাধ্যমে আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করার প্রস্তুতি
চিনের এই রহস্যময় বিমানবাহী রণতরী সম্পর্কে এখনো খুব বেশি কিছু জানা যায়নি, তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে চিন যা করছে তা আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করতে। আসলে, চিনের সমুদ্র শক্তি আমেরিকার তুলনায় কোথাও নেই। আমেরিকার আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে পরাশক্তি হতে চায় চিন। এই কারণেই এটি আমেরিকান নৌবাহিনীর চেয়ে তার নৌশক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে চায়।
অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ান নির্মাণ করা হয়েছে
চিন ইতিমধ্যে একটি অত্যাধুনিক এবং বিপজ্জনক বিমানবাহী রণতরী তৈরি করেছে। এর নাম ফুজিয়ান। ফুজিয়ান এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের দৈর্ঘ্য 300 মিটার এবং প্রস্থ 78 মিটার। এর ওজন 80,000 টনের বেশি। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ওজনের তুলনায় এটি আমেরিকার সবচেয়ে আধুনিক বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডের সমান।
আমেরিকার কাছে ১১টি উড়োজাহাজ, চিনের কটি?
বিমানবাহী রণতরী সংখ্যার দিক থেকে চিন আমেরিকার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। আমেরিকার মোট ১১টি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। সেই তুলনায় চিনের বিমানবাহী রণতরী রয়েছে মাত্র ৩টি। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সামরিক শক্তির দিক থেকে আমেরিকার পেছনে থাকা পছন্দ করেন না। এই কারণেই তারা দ্রুত বিমানবাহী রণতরী এবং বিপজ্জনক যুদ্ধজাহাজ তৈরি করছে।