তিন দিনের লাইভ-ফায়ার সামরিক মহড়া চিনের, উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান

china

বেজিং, ২৪ নভেম্বর:  সোমবার চিনের সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রশাসন (Maritime Safety Administration) ঘোষণা করেছে যে হলুদ সাগরের (Yellow Sea) উত্তর অংশে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত একটি লাইভ-ফায়ার সামরিক মহড়া (live fire exercise) পরিচালিত হবে।

Advertisements

লিয়াওনিং প্রদেশের ডালিয়ান মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মহড়াটি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হবে এবং শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। এই সময়কালে, কোনও জাহাজকে নির্ধারিত সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তবে, নিরাপত্তার কারণে, মহড়ার সময় যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

   

সামুদ্রিক অঞ্চল পর্যবেক্ষণ
চিন নিয়মিতভাবে নৌ-প্রস্তুতি জোরদার করতে এবং এই অঞ্চলে কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে এই ধরনের সামরিক মহড়া পরিচালনা করে। যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি শনাক্ত করার জন্য, চিন ক্রমাগত তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে এবং সামরিক মহড়ার মাধ্যমে তার শক্তি আরও শক্তিশালী করছে।

কোন দেশগুলি এই মহড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন?
হলুদ সাগরে চিনের এই সামরিক মহড়া দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। আসলে, এই এলাকাটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামুদ্রিক সীমান্তের খুব কাছে, যার কারণে চিনের কার্যকলাপকে সামরিক চাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাপানও এই মহড়াকে তার সামুদ্রিক রুট এবং নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সাথে চিনের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ, এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে।

Advertisements

মহড়া আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে

যদিও চিন এটিকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ বলছে, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের মহড়া আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষণ, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ চিন সাগর এবং পূর্ব চিন সাগরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই মহড়া এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।