Anwar ul Haq Kakar: এখনও ‘অঘোষিত নিষিদ্ধ’ কমিউনিস্ট পার্টি, পাক মসনদে বাম মনস্ক প্রধানমন্ত্রী!

কমিউনিস্ট পার্টির সংযোগে না থাকলেও পাকিস্তানে এবার প্রথম বাম মনস্ক প্রধানমন্ত্রী হলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশটিতে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সময় কাজ করবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী (Anwar ul Haq Kakar) আনোয়ার উল হক কাকার।

Anwar ul Haq Kakar

উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে ১৯৪৮ সালে কলকাতায়  তৎকালীন সংযুক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) ভেঙে গঠিত হয়েছিল (CPP) পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি। যুক্ত পাকিস্তানের পশ্চিম অংশে শুরু থেকেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় দলটি। এখনও পাকিস্তানে দলটি নিবন্ধিত নয়, একপ্রকার ‘অঘোষিত নিষিদ্ধ’ হয়ে আছে।

সরাসরি কমিউনিস্ট পার্টির সংযোগে না থাকলেও পাকিস্তানে এবার প্রথম বাম মনস্ক প্রধানমন্ত্রী হলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দেশটিতে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সময় কাজ করবে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী (Anwar ul Haq Kakar) আনোয়ার উল হক কাকার। পাকিস্তান সংসদের তথ্য বলছে আনোয়ার উল হক কাকার বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টির নেতা। এই দলটি মধ্য বাম নীতি নিয়ে চলে। এই নীতি তাদের ঘোষিত কর্মসূচি তালিকায় আছে।

মধ্য-বাম দল বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বাপ) সংসদ সদস্য আনোয়ার উল হক কাকারের নামে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সিলমোহর দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও বিরোধীরা কাকারের নামে একযোগে সহমতি দেন।

কাকার 2018 সালের পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে বালোচিস্তান থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। তিনি পরে যে দল তৈরি করেন তার নাম বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি। দলটি বালোচিস্তান প্রদেশের জোট সরকারের শরিক।

আনোয়ার উল হক পশতুন গোষ্ঠিভূক্ত কাকার উপজাতির অন্তর্গত। রাজনৈতিক সক্রিয়তার পাশাপাশি, কাকার পাকিস্তানের বিদেশ নীতি প্রণয়নকারী বিভিন্ন কমিটির  সাথেও জড়িত। কাকার দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি, বিশেষ করে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সম্পর্কের গভীর পর্যবেক্ষক। পুস্তু উর্দু, ফার্সি, ইংরাজি, বেলুচি এবং ব্রাহ্ভি ভাষায় পারদর্শী তিনি।

পাকিস্তানে গত জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল ইমরান খানের তৈরি করা দল তেহরিক ই ইনসাফ। তবে সরকারের মেয়াদ পূর্তির আগে দুই বিরোধী দল পিপিপি ও পিএমএল(এন) যে জোট তৈরি করে তাতে ইমরান খানের পক্ষ ত্যাগ করে কিছু শরিক। আস্থা ভোটে পরাজিত হন ইমরান খান। আপাতত তিনি সরকারি কোষাগার সংক্রান্ত মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে জেলে বন্দি। আদালতের নির্দেশে পাঁচ বছর ভোটে লড়তে পারবেন না। তবে ইমরান খানের দলের অ়ভিযোগ, প্রবল জনপ্রিয়তা দেখেই ইমরান খানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বন্দি করা হয়েছে ।