খালিস্তানি মদত ইস্যুতে সংঘাত, হাফ ডজন কানাডীয় কূটনীতিক তাড়াল ভারত

খালিস্তানি জঙ্গি মদত অভিযোগে ভারত-কানাডা (Canada-India Relations) তীব্র কূটনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল। দুই দেশেই চলছে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কার পর্ব। খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং…

Canada-India Relations India Expels Six Canadian Diplomats

খালিস্তানি জঙ্গি মদত অভিযোগে ভারত-কানাডা (Canada-India Relations) তীব্র কূটনৈতিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল। দুই দেশেই চলছে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিকদের বহিষ্কার পর্ব। খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা ঘিরে কূটনৈতিক সংঘাত।

বিবিসি জানাচ্ছে, নয়াদিল্লির কানাডীয় দূতাবাসে কর্মরত ৬ জন কূটনীতিককে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। আগামী ১৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তালিকায় আছেন, দূতাবাসের দুই বরিষ্ঠ কর্মকর্তাসহ চার জন ফার্স্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কূটনীতিক।জানা যাচ্ছে, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে ফিরিয়ে আনছে ভারত সরকার। এই তালিকায় আছেন একাধিক ভারতীয় কূটনীতিক।

   

২০২৩ সালে কানাডাীয় শিখ নেতা নিজ্জরকে সে দেশে খুন করা হয়। নিজ্জর খালিস্তানপন্থী বলে চিহ্নিত ছিল। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট শিখ ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ খালিস্তান আন্দোলন ভারতের নজরে জঙ্গি কর্মকাণ্ড। খালিস্তানপন্থী নিজ্জর খুনের পিছনে ভারত জড়িত বলে কানাডা সরকারের অ়ভিযোগ। তবে অভিযোগ মানতে চাননি ভারত। শুরু হয় কূটনৈতিক সংঘাত।

রবিবার (১৩ আগস্ট) কানাডা সরকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে ‘সন্দেহভাজন’ বলে ঘোষণা করেছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা।

উগ্র শিখ খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘জঙ্গি’ আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকরা। কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে এমন বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। বৈঠকে তাঁকে সরাসরি জানানো হয়, কানাডায় “চরমপন্থা পরিবেশ” ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে।

কানাডার রাষ্ট্রদূতকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেই সে দেশের ৬ কূটনীতিককে তাড়িয়ে দিল ভারত সরকার। জানা যাচ্ছে, কানাডা সরকারের নজরে ‘সন্দেহভাজন’ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ফেরানো হচ্ছে।

কানাডার দূতাবাস সূত্রে খবর, কানাডিয়ান শিখ নেতা নিজ্জর হত্যার পিছনে কে বা কারা জড়িত সেই প্রমাণ ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। যদিও ভারতের দাবি, অসংখ্য অনুরোধ সত্ত্বেও নিজ্জর হত্যায় ভারতের কথিত জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ কানাডা সরকার।

ভারতের কটাক্ষ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিতে জড়িত। বিবিসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, কানাডায় বিপুল সংখ্যক শিখ কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করেন। তাদের ভোট সে দেশের সব রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য।