২ হাজার কেজির জলহস্তীও নাকি উড়তে পারে! ব্রিটিশ গবেষণায় তাক লাগানো অনুসন্ধান

যা বোধহয় স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেননি, সেই যুগান্তকারী অনুসন্ধানই প্রকাশ পেয়েছে ব্রিটিশ গবেষণায়। ২ হাজার কেজির বিশালাকার জলহস্তীও নাকি উড়তে পারে! লন্ডনের কাছে হার্টফোর্ডশায়ারের রয়্যাল…

can Hippos Fly New UK Research Reveals Bizarre Finding , ২ হাজার কেজির জলহস্তীও নাকি উড়তে পারে! ব্রিটিশ গবেষণায় তাক লাগানো অনুসন্ধান

যা বোধহয় স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করেননি, সেই যুগান্তকারী অনুসন্ধানই প্রকাশ পেয়েছে ব্রিটিশ গবেষণায়। ২ হাজার কেজির বিশালাকার জলহস্তীও নাকি উড়তে পারে!

লন্ডনের কাছে হার্টফোর্ডশায়ারের রয়্যাল ভেটেরিনারি কলেজের গবেষকরা জলহস্তীর চলাচলের ফুটেজ ফ্রেম ধরে ধরে পরীক্ষা করেছেন। গবেষকরা ৩২টি জলহস্তীর ১৬৯টি ভিডিও বিশ্লেষণ করেছেন। চলেছে গবেষণা। এরপরই ওই গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিশাল মোটা এই প্রাণী যখন তাদের সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছায় তখনই তারা উড়তে পারে।

   

বিজ্ঞানীদের দাবি, ভিডিওগুলি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী জলহস্তীকে তাড়া করার সময় তৃণভোজী আরেকটি জলহস্তী একবারে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মাটি থেকে তার চারটি পা উপরে তোলে। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, বিশালাকার প্রাণীগুলির মধ্যে হাতি এবং গন্ডার রয়েছে, তবে এদের থেকে বেশি দ্রুতগামী জলহস্তী। এরা সাধারণত হাঁটার থেকে মৃদু গতিতে দৌড়তেই পছন্দ করে।

গবেষণাটির প্রধান তথা বিবর্তনীয় বায়োমেকানিক্সের অধ্যাপক জন হাচিনসন গার্ডিয়ান প্রত্রিকাকে জানিয়েছেন যে, জলহস্তী কীভাবে স্থলে চলাচল করে এ ব্যাপারে খুব কম তথ্যই এতদিন সামনে এসেছিল। তাঁর কথায়, ‘জলহস্তীর বিষয়ে কিছু খুঁজে বার করা অনেকটা ধাঁধার মত। তাদের ব্যাপারে জানা খুবই কঠিন। এই প্রাণী শুধুমাত্র জলেই বেশি সময় কাটায় এমন না, তারা খুবই আক্রমণাত্মক এবং বিপজ্জনক। এছাড়া জলহস্তী রাতে বেশি সক্রিয় থাকে।’

ফের রেকর্ডের দোরগোরায় কমলা হ্যারিস! মার্কিন ভোট নিয়ে তেতে ভারতীয়রা

প্রাণীটিকে ভাল করে অধ্যয়নের জন্য, গবেষকরা জলহস্তীর গতিবিধির ইউটিউব ভিডিওগুলির মাধ্যমে পরীক্ষা করেছেন। দেখেছেন, তাদের পা কখনও মাটি ছেড়েছে কিনা। এ জন্য ‘ফ্রেমে বাই ফ্রেম’ মূল্যায়ন চলে। অধ্যপক হাচিনসন তার একজন ছাত্রকে জলহস্তীর দৌড়ের ভিডিও রেকর্ড করতে পাঠান। সেখানে অতিকায় এই প্রাণীগুলির স্থলে স্থিতিশীল অবস্থা, জলের গর্তের মধ্যে চলে যাওয়া ধরা হয়েছিল।

এই ভিডিওগুলি পর্যালোচনা করার পরে, গবেষকরা উপসংহারে পৌঁছান যে, জলহস্তী সাধারণত যে গতিতেই চলুক না কেন, তাদের মধ্যে মৃদু গতিতে দৌড়ানোর (ট্রটিং) অভ্যাস রয়েছে। গবেষকরা আরও খুঁজে পেয়েছেন যে, জলহস্তী তাদের কোণাকুণি (সামনের ডান পা, পেছনের বা পা) পা একইদিকে চালায়। একইভাবে অন্য দুটি পা-ও একইভাবে চলে। ফলে বিপক্ষকে তাড়া করতে দ্রুত গতিতে ছোটে। সেই সময়ই তারা কিছুক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকে।

জলহস্তী নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণা সামনে এলেও অধ্যাপক হ্যাচিনসনের দাবি, পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ‘একঘেঁয়ে’ এবং ‘বিরক্তিকর’।