কলকাতা: বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রে শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপ সিদ্দিকি (tulip)৷ দুর্নীতির অভিযোগের নৈতিক দায় নিয়ে ব্রিটিশ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বছর বিয়াল্লিশের টিউলিপ। এদিকে, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ ইস্তফা দিতেই ঝড় ওঠে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। মঙ্গলবার বেশি রাতে বাংলাদেশ সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, টিউলিপ-সহ শেখ হাসিনার পরিবার যে অর্থ তছরুপ করেছে এবং বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তা উদ্ধার করার সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে। (british pm starmer give clean cheat to tulip)
রাতেই টিউলিপকে ক্লিনচিট দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী british pm starmer give clean cheat to tulip
যদিও মঙ্গলবার রাতেই টিউলিপকে ক্লিনচিট দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার৷ ব্রিটিশ মন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আমারা অভিযোগের তদন্তে করে আপনার বিরুদ্ধে কোনও ধরনের অনিময়, দুর্নীতির প্রমাণ খুঁজে পাইনি৷ আপনার জন্য মন্ত্রিসভার দরজা খোলা রইল।’ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের কাছে এই চিঠি পাঠাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার৷ টিউলিপ ইস্তফা দেওয়ার পরেই বাংলাদেশ মিডিয়ায় হুলস্থূল পড়েছিল৷ টিউলিপ তো বটেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বিবৃতি জারি করেছিল ইউনূস সরকার৷
দুর্নীতির প্রমাণ নেই british pm starmer give clean cheat to tulip
মঙ্গলবার রাতে টিউলিপকে লেখে চিঠিতে স্যার কিয়ার স্টারমার লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আপনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি। আমি স্পষ্ট ভাবে জানাতে চাই যে, ব্রিটিশ সরকারের স্বাধীন উপদেষ্টা (ইনডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাস আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি আপনার তরফে মন্ত্রিত্বের বিধির (মিনিস্ট্রিয়াল কোড) লঙ্ঘনের কোনও রকম প্রমাণ পাননি। আপনার বিরুদ্ধে কোনও আর্থিক অনিয়মের প্রমাণও পাওয়া যায়নি।’