মুখে ফেসপ্যাক, চোখে শশা। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে রাখতে বলা হয় ৩৫ মিনিট। তারমধ্যেই ঘটে যায় অঘটন। মহিলাদের বিউটি পার্লারের এমন ঘটনা একদম বিরল। বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জে এমন আজব চোরের সন্ধান পাওয়া গেল। কোথাও পার্লারের পরিষেবা নেওয়ার জন্যে এসেছেন কোথাও বা পার্লারের কর্মী সেজে এই কাজ করছে তিন চার জনের একটি গ্যাং। শুধু একটি পার্লার নয় একাধিক পার্লারে এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে এলাকায়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জের বিউটি পার্লারের ফেসিয়াল করাতে আসেন এক মহিলা। বিউটিশিয়ান তাকে তার গলায় থাকা সোনার হার এবং সোনার দুল খুলে রাখতে বলেন। বিউটিশিয়ানের কথা মত তিনি তার সমস্ত সোনার গহনা খুলে পাশে ব্যাগে রাখেন। মুখে ফেসপ্যাক চোখে শসা দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখতে বলেন প্রায় ৩৫ মিনিট। এরমধ্যেই ঘটে মারাত্মক ঘটনা। চোখ খুলে দেখেন তার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বিউটিশিয়ান। ব্যাগে ছিল তার সোনার অলংকার এবং নগদ টাকা।
পুলিশের দাবি মহিলাদের পার্লারে চুরির ঘটনা খুবই বিরল। এমন পার্লারের ঘটনায় সাধারণত সন্দেহের তীর থাকে পার্লারের মালিকদের উপর। আসলে পার্লারের মধ্যে তোর সিসিটিভি ক্যামেরা থাকে না। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর যখন পুলিশ সেই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে। মেয়েটির নাম বীথি আক্তার। তখন তার দাবি যে তিনি একা করেননি তার সঙ্গে আরও চার-পাঁচ জন ছিল। বীথি আক্তার কখনও নিজে বিউটি পার্লারের কাজ শিখতে এসেছে আবার কখন নিজে ফেসিয়াল করতে এসেছে। সুযোগ বুঝে টার্গেট করেন পার্লারে আসা মহিলাদের। সোনার গহনা, টাকা চুরি করেন। প্রত্যেকবার ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে তিনি চাকরি নেন।