Bangladesh: এশিয়ায় প্রথম স্বপ্নের রেলযাত্রা, উপরে হাতি যাবে আর নিচে ছুটবে ট্রেন

ট্রেন চলবে নিচ দিয়ে। হাতি চলাচল করবে উপর দিয়ে। এমনই এক অভিনব রেলপথ তৈরিতে নেমেছে বাংলাদেশ। এটি বুনো হাতিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার কাজ বলে…

ট্রেন চলবে নিচ দিয়ে। হাতি চলাচল করবে উপর দিয়ে। এমনই এক অভিনব রেলপথ তৈরিতে নেমেছে বাংলাদেশ। এটি বুনো হাতিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার কাজ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ রেল জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিভাগের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ রেললাইন প্রকল্পের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল চুনতি অভয়ারণ্যসহ তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। সেখানেই হাতির জন্য এমন করিডর হচ্ছে যার নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

বাংলাদেশ রেল জানাচ্ছে, সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারবাসীর। ১৮,৩০০ কোটি টাকায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ এখন সম্পূর্ণ তৈরী। আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ উদ্বোধন করবেন। চালু হবে স্বপ্নের এই রেলযাত্রা।

   

এই রেলপথে বণ্যপ্রাণীর অবাধ চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছে ‘এলিফ্যান্ট ওভারপাস’। যার ফলে ওভারপাসের উপর দিয়ে হাতি চলাচল করবে। পরিবেশ সুরক্ষা এবং বন্যপাণীর অবাধ চলাচলের বিষয়টি মাথায় রেখে সেখানের বনাঞ্চলে নির্মিত হয়েছে এলিফ্যান্ট ওভারপাস, যা এশিয়া মহাদেশে প্রথম। এছাড়া আবাসিক সুবিধাসহ ৯টি স্টেশন, ছোট-বড় ৫১টি সেতু, ২০১টি কালভার্টসহ প্রকল্পের প্রায় সব কাজ শেষ।

নির্মাণকারী সংস্থা ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম এম আলমগীর বলেন, ব্রিজ, নদী, খালসহ আরও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা আমাদের দায়িত্ব ভালোভাবে সম্পন্ন করেছি।কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে, এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আমরা।

উদ্বোধনের পর প্রথমে চট্টগ্রাম, পরে ঢাকা থেকে চালু হবে ট্রেন চলাচল। শুরুতে ৮০ কিলোমিটার বেগে চললেও পরবর্তীতে গতি বাড়ানো হবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ২ ঘণ্টায় পৌঁছা যাবে কক্সবাজারে।১৮ হাজার ৩৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজার থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মিত হবে আরও ২৮ কিলোমিটার রেলপথ, যা বাংলাদেশকে যুক্ত করবে ট্রান্স এশিয়ান নেটওয়ার্কের সাথে।