শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) জমানায় বারবার নির্দল প্রার্থী হয়ে মার খেয়েছিলেন নেট দুনিয়ার কৌতুক অভিনেতা ও ইউটিউবার (Hero Alom) হিরো আলম। তাঁকে মারধর করার ছবিতে বিশ্ব আলোড়িত হয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের তরফে প্রশ্লবিদ্ধ হয়ে বিব্রত ছিলেন খোদ হাসিনা। গণবিক্ষোভে তিনি ক্ষমতাচ্যুত। বাংলাদেশে (Bangladesh) এখন যে অন্তর্বর্তী সরকার চলছে তাতে একজন উপদেষ্টা হিসেবে হিরো আলনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্যাবিনেটে স্থান পেতে চলেছেন বলেই গুঞ্জন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এই গুঞ্জনের কারন তারই বিস্ফোরক দাবি। হিরো আলম জানিয়েছেন, ‘দেশের ভিন্ন জেলা থেকে অহরহ কল আসছে ,পোস্ট করছে যে ভাই আপনাকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই।’
নিজেকে নিয়ে হিরো আলম এমন দাবি করায় বাংলাদেশের প্রবল আলোড়ন। নেট দুনিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে হিরো আলনের বার্তা বিশ্বজুড়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয় বাংলাভাষীদের মধ্যেও চাঞ্চল্য।
গোটা ঘটনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র-নাট্য পরিচালক মোস্তাফা সারওয়ার ফারুকি। তিনি দায়িত্ব পেতেই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ উঠেছে, ফারুকি প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার শাসনের বিরোধিতা করলেও বিভিন্ন সময় তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। ফারুকির স্ত্রী জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তিশা। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবন ভিত্তিক তৈরি ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে অভিনয় করার সুবাদে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। ফলে তাঁর স্বামী ফারুকির বিরুদ্ধে সমালোচনা তীব্র হয়। তাকে উপদেষ্টা পদ থেকে সরানোর দাবি জোরালো হয়েছে। গণবিক্ষোভের ধাক্কায় বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ শেখ মুজিবুর রহমান এখন ‘অবাঞ্ছিত’ নাম।
এই সুযোগে হিরো আলম দাবি করেছেন তার কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিতে বারবার অনুরোধ আসছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিগত ছাত্র আন্দোলনে ফারুকি ভাইয়ের কোনো ভূমিকা দেখিনি, মাঠে দেখিনি। দু-একটি স্ট্যাটাস দিতে দেখেছি। জনগণ মনে করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকি ভাইয়ের চেয়ে হিরো আলম যোগ্য, কারণ হিরো আলম আন্দোলনের সময় মাঠে ছিল। জনগণ ফারুকি ভাইকে মেনে নেয়নি।’