Yellow-bellied sea snake: মন বসে না সাগরে…ভারত-বাংলাদেশ সৈকতের আতঙ্ক তীব্র বিষাক্ত হলুদ পেট সাপ

বিশ্বের অন্যতম সৈকত শহর বাংলাদেশের কক্সবাজার। বঙ্গোপসাগরের অন্য তীরে আছে ভারতের দীঘা, পুরী, সহ একাধিক নামকরা সৈকত শহর। লাখ লাখ পর্যটক আসেন দুই দেশের সৈকতে।…

Yellow-bellied sea snake: মন বসে না সাগরে...ভারত-বাংলাদেশ সৈকতের আতঙ্ক তীব্র বিষাক্ত হলুদ পেট সাপ

বিশ্বের অন্যতম সৈকত শহর বাংলাদেশের কক্সবাজার। বঙ্গোপসাগরের অন্য তীরে আছে ভারতের দীঘা, পুরী, সহ একাধিক নামকরা সৈকত শহর। লাখ লাখ পর্যটক আসেন দুই দেশের সৈকতে। আছেন স্থানীয়রা। এসবের মাঝে সৈকতের আতঙ্ক (Yellow-bellied sea snake) সামুদ্রিক বিষধর সাপ।

দুই দেশের সৈকতে নতুন আতঙ্ক ইয়েলো বেলিড নামের এক ভয়ঙ্কর সাপ। কালো বর্ণের দেহে হলুদ রং থাকায় সাপটি দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু সৌন্দর্যের কাছে হার মেনে যাবে এই সাপের ভয়াবহতা। ইয়েলো বেলিডের এক কামড়ে আপনার জীবন শেষ। যদি আপনি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে ভালো করে চিনে নিন এই সাপটিকে।

Yellow-bellied sea snake: মন বসে না সাগরে...ভারত-বাংলাদেশ সৈকতের আতঙ্ক তীব্র বিষাক্ত হলুদ পেট সাপ

কক্সবাজার সহ অন্যান্য সমুদ্র সৈকতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই বিষধর সাপটি। এক কামড়েই খেলা শেষ। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশে এই সাপের বিষ থেকে বাঁচার জন্য ঔষধ পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে এদের ক্ষেত্রে কোনও বিষ নিরোধক ওষুধ কাজই করবে না।

গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলের উল্টো দিকে থাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দীঘার সমুদ্র উপকূলে এই সাপটি দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সাপের বিষয়ের সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। কক্সবাজারেও দেখা মিলেছে ইয়েলো বেলিড সাপের। গত ১১ ই আগস্ট শহরের সমিতি পাড়া সমুদ্র সৈকতে এই সাপটির দেখা পেয়েছেন একজন বীচ কর্মী। এর আগেও চট্টগ্রামের সুগন্ধা পয়েন্ট সৈকতে এই সাপের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের ক্যামেরায় বহুবার ধরা পড়েছে। আগস্ট মাসে কক্সবাজারের কলাতলী বীচে এক পর্যটক সাপটির ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।

Advertisements

সাম্প্রতিক সময়ে এই সাপের বিচরণ দেখা গেলেও কাউকে আক্রমণ করার খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক মাস আগে দুবলার চর সৈকতে এক জেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই সাপ কামড়ালে মুহূর্তের মধ্যে সমস্ত পেশী কাজ করা বন্ধ করে দেয় হার্ট ফুসফুসে সমস্যা বাড়তে থাকে। কিছু সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় স্নায়ু স্পন্দন যার ফলে মৃত্যু ঘটে। তবে কোনোভাবে বেঁচে গেলেও বাকি জীবনটা কাটাতে হবে প্যারালাইজড হয়ে। ইয়েলো বেলিডের বিষ দাঁত অনেক ছোট। তাই খুব অল্প পরিমাণ বিষ ইনজেক্ট করতে পারে। তবে তীব্রতা বেশি হওয়ায় সেইটুকুই হয়ে যায় মারাত্মক ভয়ানক।

সাপটির ব্যথাহীন কামড় খাওয়ায় আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনাকে কামড়িয়েছে। শুরুর কিছু মুহূর্তে কোনও লক্ষণ দেখা দেবে না। তবে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি।