তীব্র ইসলামিকরণের পথে বাংলাদেশ, নারী সেনারা হিজাবে মুখ ঢাকবেন

সংবিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ আর ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এই বৈপরিত্য নিয়েই দশকের পর দশক চলেছে (Bangladesh) বাংলাদেশ। পূর্বতন সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম…

BANGLANARI তীব্র ইসলামিকরণের পথে বাংলাদেশ, নারী সেনারা হিজাবে মুখ ঢাকবেন

সংবিধান ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ আর ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ এই বৈপরিত্য নিয়েই দশকের পর দশক চলেছে (Bangladesh) বাংলাদেশ। পূর্বতন সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লিখিয়েছিলেন। তীব্র বিতর্কিত এই অংশটি বাদ দিতে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করা শেখ হাসিনার জমানায় দাবি উঠেছিল। তবে তিনিও পদক্ষেপ নেননি। গণবিক্ষোভে হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ইসলামিকরণ আরও তীব্র বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে নারী সেনা সদস্যরা হিজাবে মুখ ঢাকতে পারবেন। এতদিন নারী সেনাদের হিজাব পরা ছিল নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই নিয়মটি উঠে গেল। হিজাব পরিহিত অবস্থায় নারী সেনা সদস্যের রঙিন ছবি সংশ্লিষ্ট দফতরে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

   

সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা চাইলে ইউনিফর্মের সঙ্গে এখন থেকে হিজাবও পরতে পারবেন। এজন্য ‘নীতিগত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের (এজি) কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ এক অফিস আদেশে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, নারী সেনা সদস্যদের জন্য হিজাব পরার বিষয়টি ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ নারী সেনা সদস্যরা চাইলে এখন থেকে হিজাব পরিধান করতে পারবেন। না চাইলে পরবেন না।

সেনাবাহিনীর নার্সিং বিভাগে (আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিস-এএফএনএস) কর্মী নারী সেনাদের হিজাব পরার ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ ছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে।

হিজাব পরিধানের একটি নীতিমালায় বলা হয়েছে, নারী সেনা সদস্যদের (অফিসার, এএফএনএস ও অন্যান্য পদবি) ইউনিফর্মের (কম্ব্যাট ইউনিফর্ম, ওয়ার্কিং ড্রেস, শাড়ি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিজাবের বাস্তব নমুনা, হিজাবের কাপড়ের ধরন, রং ও পরিমাপ তুলে ধরে বিস্তারিত বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।