বন্যার জলে ভাসছে বাংলা৷ চাষবাসের জমি প্রায় জলের তলায়৷ যার বিঘার পর বিঘা জমি ডুবে গিয়েছে৷ যার জেরে বাজারে সবজির দাম (vegetables price)৷ বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারী বাজারেও বাড়ছে দাম৷ বাজারে সবজির দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির কারণে আমজনতার পকেটে পড়ছে টান৷
তবে সাধারণ মানুষের কাছে দারুণ সুখবর৷ জনগণকে স্বস্তি দিতে নয়া নীতি নিয়েছে নবান্ন। বন্যার জেরে সমস্ত সবজি প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই সেই বিষয় মাথায় রেখে ‘কৃষকের দুয়ারে’ পৌঁছে গিয়ে তাঁদের উৎপাদিত সবজি সরসারি কিনছে রাজ্য সরকার।
আর সেই সবজি বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা–সহ বাংলার নানা অঞ্চলের মানুষ কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তাতে উপকৃত হচ্ছেন মানুষজন বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলার মানুষকে কম দামে শাক–সবজি খাইয়ে থাকে ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্প। আবার সামনেই দুর্গাপুজো। তাই এই স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যাতে করে সাধারণ মানুষ এই কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন৷
নবান্ন সূত্রে খবর,কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু তাতেও মেলেনি সুরাহা৷ খানিকটা কমে গিয়েছে ঠিকই। গত এক সপ্তাহ আগেই বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হয়ে গিয়েছিল৷ কিন্তু এখন সেই দামে কিছুটা রাশ টানা গিয়েছে৷ এখন ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় মিলছে। যদিও রাজ্যের কাছে এটাও বেশি বলে মনে করছেন তাই মধ্যবিত্তের পকেটের কথা মাথায় রেখে নয়া সিদ্ধান্ত ববান্নের৷
তাই কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে সবজি–সহ আনাজপাতি কিনছে রাজ্য সরকার। তাতে বাজারে সবজির দাম কমবে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বিনা খরচে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারছেন। । নয়া উদ্যেগের মধ্য দিয়ে কৃষক এবং সাধারণ মানুষ। মধ্যস্থতার কাজ করছে রাজ্য সরকার। এবার গ্রামবাংলার পর শহরের মানুষও পাবে কম দামে সবজি–আনাজ।