Bangladesh: বিশ্বখ্যাত গেরিলা যোদ্ধা ‘পাকিস্তানের যম’ বাঘা সিদ্দিকী পরাজিত

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে তীব্র নজরকাড়া ফলাফল এলো টাঙ্গাইল থেকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ‘বঙ্গবীর’ কাদের সিদ্দিকী…

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় নির্বাচনে তীব্র নজরকাড়া ফলাফল এলো টাঙ্গাইল থেকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ‘বঙ্গবীর’ কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) পরাজিত হয়েছেন। তিনি বাঘা সিদ্দিকী নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনা খতম অভিযানে বাঘা সিদ্দিকীর গেরিলা বাহিনী (কাদেরিয়া বাহিনী) তীব্র আক্রমণ চালিয়েছিল। বাঘা সিদ্দিকী কার্যত পাক সেনার যম নামে চর্চিত হয়েছিলেন। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সেই বাঘা সিদ্দিকী এবার আর সংসদে যেতে পারলেন না।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসনে ভোট লড়াই করেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের কাছে পরাজিত হন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। এই আসনে ভোট পড়েছে ৪২.৮৪ শতাংশ। কাদের সিদ্দিকী এই আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। 

পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশ তৈরির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সামনে নিজের স্বশস্ত্র বাহিনীকে ভেঙে দেন বাঘা সিদ্দিকী। তাঁকে ‘বঙ্গবীর’ খেতাব দেন মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে খুন করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঘা সিদ্দিকী ফের সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে তিনি ভারতে আত্মগোপন করেন। দীর্ঘ সময় ততকালীন বর্ধমান জেলার (এখন পূর্ব বর্ধমান) সদর শহর বর্ধমানে তিনি থাকতেন। ততকালীন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল সিপিআইএম নেতৃত্বে চলা বামফ্রন্ট সরকার ও ভারত সরকারের বিশেষ নিরাপত্তা ছিল তাঁর জন্য। ১৯৯০ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

নির্দলরাই আসন সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীপক্ষ। রবিবার ভোট শেষে গণনা শুরুর পর সোমবার যে তথ্য আসছে তাতে নব্বই শতাংশ আসনে জয়ী আওয়ামী লীগ। একক গরিষ্ঠতার থেকেও বেশি। আর আসনপ্রাপ্তির নিরিখে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ যারা স্বতন্ত্র (নির্দল) হয়ে নেমেছিলেন, তারা চমকে দিলেন। ঢাকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অচিরেই এই নির্দলরা সামিল হবেন সরকারে। কারণ, তারাও আওয়ামী লীগেরই নেতা। ফলে ‘লীগে-লীগে লড়াই’ এই ছায়াযুদ্ধে হাসলেন শেখ হাসিনা।