গণহত্যায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনার মুখোমুখি জবাবদিহি চায় রাষ্ট্রসংঘ, মোদীকে ইঙ্গিত বার্তা

বাংলাদেশে (Bangladesh) ছাত্র আন্দোলন ও জনতার বিক্ষোভ দমনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত বিক্ষোভের চাপে তিনি ক্ষমতাচ্যুত। ভারতে…

বাংলাদেশে (Bangladesh) ছাত্র আন্দোলন ও জনতার বিক্ষোভ দমনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত (Sheikh Hasina) শেখ হাসিনা। রক্তাক্ত বিক্ষোভের চাপে তিনি ক্ষমতাচ্যুত। ভারতে আশ্রিত। আর বাংলাদেশে চলছে ‘হাসিনার ফাঁসি চাই’ স্লোগান ঝড়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার বিচারের পথে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রসংঘ (UN) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হবে বিচার। এবার রাষ্টসংঘের বার্তা, শেখ হাসিনাকে অভিযোগের মুখোমুখি জবাবদিহি করতে হবে।

রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের আন্তেনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, আমরা এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই জবাবদিহির কথা বলে আসছি। প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির দরকার রয়েছে।

   

রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ওপর চালানো হত্যার দায়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের মুখোমুখি জবাবদিহি চাইতে হবে। হাসিনা ভারতে আশ্রিত। অত্যন্ত গোপনে তাঁকে রেখেছে ভারত সরকার। রাষ্ট্রসংঘের তরফে হাসিনাকে মুখোমুখি আনার বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেও চাপ তৈরি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

সরকারি চাকরিতে আসন সংরক্ষণ নিয়মের সংস্কার চেয়ে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল গত জুলাই মাসে। অভিযোগ, আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে নিহতের সংখ্যা ৬০০ জনের অধিক। তবে বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা সহশ্রাধিক। পড়ুয়াদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঞ্চের দাবি, শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়েছিলেন। তাকে দেশে এনে বিচার করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক।

বাংলাদেশে টানা চার বার সরকার গড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি গত ৫ আগস্ট ক্ষংমতাচ্যুত হয়েছেন। রাজনৈতিক পালাবদলের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অভিনন্দনপত্র লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, “রাষ্ট্রসংঘের প্রত্যাশা ড. ইউনূসের সরকার তরুণদের পাশাপাশি মহিলা, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়কেও বিশেষভাবে মর্যাদা দেবে।”