বাংলাদেশের গাজীপুরে বর্তমানে উত্তেজনা নতুন করে চরম আকার ধারণ করেছে। ধানমন্ডির ঘটনার পর গাজীপুরে একাধিক সংঘর্ষ ও হামলা পাল্টা হামলার মধ্যে গুলির লড়াইও হয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং বিক্ষোভের মাঝেই পুলিশ ‘ডেভিল হান্ট’ নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।
এই অভিযানের ফলে পুলিশ ৪০ জনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে।
গাজীপুরের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শুক্রবার রাতে, যখন হাসিনা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা হয়। তবে, এই হামলায় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে ওঠে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা হামলাকারীদের আক্রমণ করেন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গazীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন করে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনের নেতারা দাবি করছেন, শিক্ষার্থীরা ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গিয়েছিল, কিন্তু তাদেরকে মারধর করা হয়। এমনকি, শনিবার রাতে আন্দোলনের এক সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
এই ঘটনার পর গাজীপুর পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে গাফিলতির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা করেছে।
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় এখন অশান্তির চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যেখানে একাধিক বাড়ি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ির আশপাশের অন্তত ৪০-৫০টি বাড়ি বন্ধ রয়েছে এবং কেউ কোনও সাড়া দিচ্ছে না।
এই উত্তেজনা এবং সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশের সরকার এবং পুলিশ মিত্রপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিক পরিকল্পনা তৈরি করেছে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে দেশজুড়ে আরও বড় আকারে বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে।