Bangladesh: কুমডোর বড়ি! চমকে দিলেন বাংলাদেশি মহিলারা

কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্রাহ্মণডাঙার নারীরা। প্রতিবছর কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গ্রামটিতে বড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির…

কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্রাহ্মণডাঙার নারীরা। প্রতিবছর কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গ্রামটিতে বড়ি বানানোর ধুম পড়ে যায়। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির আয়ের উৎস এই বড়ি। তবে বিক্রয় মূল্য না বাড়াতে পারলে উৎপাদন খরচ ওঠানো মুশকিল হবে মনে করছে বড়ি বিক্রেতারা।

নড়াইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের মিনতি কুন্ডু বিগত ১০ বছর ধরে কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছেন। এটি বিক্রি করেই তিনি সংসার চালাচ্ছেন। কলাইয়ের ডাল বেঁটে তার মধ্যে কুমড়ো মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে এই বড়ি। তৈরির পর এই বড়ি গুলো মাচায় রেখে রৌদ্রে শুকাতে দেওয়া হয়।

বড়ি বিক্রেতা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১১ কেজি বড়ি দেওয়া হয়। ডাল, কুমড়োর যা দাম তা হিসাব করলে বড়ি বিক্রি করেও সেই দাম ওঠেনা”।

মিনতি কুন্ডুর বড়ি বিক্রি দেখে ওই গ্রামের বহু নারী বড়ি তৈরি করে বিক্রি করার দিকে অগ্রসর হয়েছেন। প্রতি কেজি বড়ি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন এই নারীরা। যেখানে প্রতি কেজির ডালের মূল্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। উপকরণের দাম বাড়ার পরে বিক্রয় মূল্য না বাড়লে এই পেশায় টিকে থাকা মুশকিল হবে বলে মনে করছেন ব্রাহ্মণডাঙ্গার নারীরা।

এই শীতের সময় বড়ি দিয়ে ফুলকপি সঙ্গে ট্যাংরা মাছের ঝোল। কিংবা যে কোনও সবজিতে দিয়ে ঘরে ঘরে রান্না করে খাওয়া হয়। তবে বড়ির বিক্রি মূল্য না বাড়লে রীতিমত সংকটে পড়তে হচ্ছে যারা বড়ি তৈরি করছেন তাদের। দাম না বাড়লে ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এই শিল্প।